পাগল হইয়া গিয়াছে। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে, তাহা হইলে তাহাকে পাগ্লা-গারদে পাঠাইতে পারি। কিন্ত যখন সে কোন জিনিষ লয় নাই, আর যখন সে উন্মাদ অবস্থায় এই কার্য্য করিয়াছে, তখন তাহাকে বৃথা কষ্ট দেওয়া ভাল নয়।”
সুধীন্দ্রবাবু অতি সজ্জন লোক। তিনি বলিলেন, “আপনি যেরূপ বলিবেন, তাহাই হইবে। যে সকল জিনিষ সে নষ্ট করিয়াছে, তাহা আর ফিরিয়া পাইবার আশা নাই। আমার যথেষ্ট ক্ষতি হইলেও যদি আপনি তাহাকে ছাড়িয়া দিতে বলেন, তাহাতে আমার আপত্তি নাই।”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “সে আপনার বাড়ীতে প্রবেশ করিল কিরূপে? আর কত রাত্রেই বা সে এ বাড়ীতে আসিল?”
সু। ঠিক কত রাত্রে আসিয়াছে বলা যায় না। তবে বোধ হয়, রাত্রি দুইটার পূর্ব্বে সে এখানে আসিতে পারে নাই।
আ। কেমন করিয়া জানিলেন?
সু। আমার ছোট ভাই গত রাত্রে থিয়েটার দেখিতে গিয়াছিল। সে রাত্রি দুইটার সময় বাড়ীতে ফিরিয়া আইসে। খুব সম্ভব, সে দরজা বন্ধ করিতে ভুলিয়া গিয়াছিল।
আ। দরজা কি তবে খোলা ছিল?
সু। না, খোলা ছিল না।
আ। তাহাকে দরজা খুলিয়া দেয় কে?
সু। আমাদের জমাদার।
আ। তাহা হইলে সেই দরজা বন্ধ করিয়াছিল?
সু। সে তাহা ঠিক করিয়া বলিতে পারে না। সে বলে যে, ঘুমের ঘোরে যে কি করিয়াছে, তাহা তাহার মনে নাই।