পাতা:চূর্ণ প্রতিমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
দারোগার দপ্তর, ১৬৮ সংখ্যা।

 বৃ। তবেই ত ঠাকুর! সেও এক জ্বালা। এই বুড়ো বয়সে কোথায় তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইব?

 আ। জহরের বেশ জ্ঞান আছে। তবে মধ্যে মধ্যে সে উন্মাদ হইয়া উঠে। তাহার জন্য় তোমাদের চিন্তা করিবার কোন কারণ নাই। সে যেখানেই থাকুক না কেন, দুই একদিনের মধ্যেই বাড়ী ফিরিবে ইহা নিশ্চয়।

 বৃ। তবে আপনি এই চাবি লউন। জহরের ঘর আপনিই খুলিয়া দিন। ইতিমধ্যে আমি মেয়েদের লইয়া একটা ঘরের ভিতর গিয়া দরজ! বন্ধ করিয়া দি।

 আমি বৃদ্ধের হাত হইতে চাবি লইলাম এবং যে ঘরে জহর আবদ্ধ ছিল, সেই ঘরের দরজা খুলিয়া দিলাম। চক্ষের পলক পড়িতে না পড়িতে জহরলাল বেগে ঘর হইতে বাহির হইল এবং কাহাকেও কোন কথা না বলিয়া একেবারে রাস্তায় গিয়া উপস্থিত হইল। আমিও তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিলাম, কিন্তু পাগলের সঙ্গে দৌড়ান বড় সহজ ব্যাপার নহে। অনেক চেষ্টা করিয়াও তাহাকে আর দেখিতে পাইলাম না, অগত্যা বাড়ীতে ফিরিলাম।


সপ্তম পরিচ্ছেদ।

 বেলা একটার পর আমি নফরের দোকানে আসিলাম। দেখিলাম, নফর বড় ব্যস্ত। জিজ্ঞাসা করিলাম, “নফরচন্দ্র! আমায় চিনিতে পার?”