আ। একখানি ত জোড়াসাঁকোর সুধীন্দ্র মুখুয্যের বাড়ী পাঠাইয়াছ, আর একখানি?
ন। আমার মনে নাই। খাতা দেখিয়া বলিতে পারি।
আ। বেশ, তোমার খাতা আন দেখি।
নফরচন্দ্র তাড়াতাড়ি খাতা আনিল। দুই চারিখানি পাতা উল্টাইয়া বলিল, “সেখানি নিকটেই পাঠান হইয়াছে।”
আ। কোথায়?
ন। বাগবাজারে।
আ। কাহার বাড়ীতে?
ন। হরিশবোসের বাড়ী।
আ। হরিশ বোস? তাঁহার সঙ্গে আমার বেশ আলাপ আছে। জহরের আর কোন খোঁজ করিয়াছ?
ন। আমি আর কি খোঁজ করিব? যখন সে পুলিসের হাত হইতে পলায়ন করিয়াছে, এবং পাহারওয়ালাগুলিকে আধমরা করিয়াছে, তখন পুলিসের লোকই তাহার সন্ধান লইতেছে।
আ। এসব ঠিক, জান?
ন। স্বচক্ষে দেখি নাই বটে, কিন্ত শুনিয়াছি,জনকতক পাহারওয়ালা জহরের বাড়ীর দরজার নিকট বসিয়া আছে। সে বাড়ীতে আসিলেই ধরা পড়িবে।
জহরলালের অদ্ভুত আচরণে আমার সন্দেহ আরও বাড়িতে লাগিল। কেনই বা সে প্রতিমাগুলিকে গুড়াইয়া ফেলিতেছে! নিজের হাতের গড়া-জিনিষ লোকে ইচ্ছা করিয়া ভাঙ্গিতে চায় না। জহর কেন এ নিয়মের ব্যতিক্রম করিল।
এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে আমি বাগবাজারে হরিশবাবুর