হ। কেন বলুন দেখি? একটা মাটীর পুতুল আবার যত্নে রাখিব কি?
আ। প্রতিমাখানির দাম সামান্য নহে।
হ। মাটীর পুতুল বলিয়া দাম কিছু বেশী বলিয়া বোধ হয় বটে, কিন্তু কারিকুরি দেখিলে উহার মূল্য অতি সামান্য বলিয়া মনে হয়।
আ। হাঁ, পুতুলগুলির গঠন অতি সুন্দর। প্রতিমাখানি রাখিয়াছেন কোথায়?
হ। আমার বৈঠকখানায়।
হরিশবাবুর কথা শেষ হইতে না হইতে একজন চাকর দৌড়িয়া হাঁপাইতে হাঁপাইতে আমাদের নিকট আসিল। বলিল, “বাবু! কোথা হইতে একটা লোক আসিয়া আপনার বৈঠকখানার সমস্ত জিনিষ ভাঙ্গিয়া চুরমার করিয়া ফেলিয়াছে।”
হরিশবাবু বড় ভাল মানুষ, চাকরদেরও তিনি কখনও কড়া কথা বলেন না। কিন্তু তখন তাঁহার মুখ দেখিয়া বোধ হইল, তিনি অত্যন্ত রাগান্বিত হইয়াছেন। কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন, কোন কথা কহিলেন না। পরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে সে?”
ভৃত্য সসম্ভ্রমে উত্তর করিল, “আজ্ঞে, তাহাকে আর কখনও দেখি নাই।”
হ। অচেনা লোক এ বাড়ীতে আসিল কেমন করিয়া? দরওয়ান বেটারা কি করিতেছিল? আর যখন সে বৈঠকখানার দরজার কাছে আসিয়াছিল, তখন তোরাই বা কি করিতে ছিলি?
ভৃ। আজ্ঞে, আমি বাজারে গিয়াছিলাম।