পাতা:চূর্ণ প্রতিমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চূর্ণ প্রতিমা।
৬৫

খানি বাহির হইয়া পড়িল। আমি তুলিয়া লইয়া ভাল করিয়া পরিষ্কার জলে ধুইয়া ফেলিলাম। দেখিলাম, পাথরখানি দামী বটে। পার্ব্বতীচরণ যে দর বলিয়াছিল, আমার বিবেচনায় তদপেক্ষা অধিক।

 দেখিয়া সাহেব, হরিশ বাবু ও ইন স্পেক্টর বাবু স্তম্ভিত হইলেন। কিছুক্ষণ তাঁহাদের কাহারও মুখ দিয়া কোন কথা বাহির হইল না।

 কিছুক্ষণ পরে সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোন সূত্র ধরিয়া আপনি এ রহস্য ভেদ করিলেন?”

 আমি হাসিতে হাসিতে বলিলাম, “সেই কথাবলিবার জন্যই এত রাত্রে আপনার নিকট আসিয়াছি। জহরলাল যে কি ভয়ানক লোক, তাহা আপনারা শুনিলে আশ্চর্য্যান্বিত হইবেন। জহরলালই হীয়াখানি কুড়াইয়া পাইয়াছিল। ধুকধুকিখানা যখন গলা হইতে মাটীতে পড়িয়া যায়, তখন হীরাখানি খুলিয়া নিশ্চয়ই জহরলালের টুলের পায়ার নিকট গড়াইয়া গিয়াছিল। জহরলাল সকলের অলক্ষ্যে সেখানি কুড়াইয়া লইয়া, সে যে মাটী দিয়া পুতুল গড়িতে ছিল, সেই মাটির ভিতর লুকাইয়া ফেলিল। সেই হীরা সমেত পুতুর গড়িয়াছিল।” সুতরাং দোকান-ঘর খুঁজিয়া তোলপাড় করিলেও হীরা পাওয়া যায় নাই। সৌভাগ্যক্রমে আমি এই প্রতিমাখানি কিনিয়াছিলাম। সেই জন্য ইহা প্রাপ্ত হইতে বিশেষ কষ্ট করিতে হইল না।”

 সাহেব বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন করিয়া জানিলেন যে, জহরলাল এ কাজ করিয়াছে?”

 আমি হাসিতে হাসিতে বলিলাম, “জহরলাল যেদিন প্রথম