থানা হইতে মুক্তি পায়, সেই দিন বাড়ীতে ফিরিয়াই পাগল হইয়া যায়। যখন তাহাকে দেখিতে যাই, তখন আমি কৌশলে হীরার কথা ফেলিয়াছিলাম। কিন্তু হীরার নাম শুনিবামাত্র সে অজ্ঞান হইয়া পড়ে। আমি প্রথমে তাহাকে পাগল মনে করিয়াছিলাম, কিন্তু যখন দেখিলাম যে, সে তাহার প্রস্তুত শেষ ছয়খানি কালীমূর্ত্তি ভাঙ্গিবার জন্ম এইরূপ পাগলাম করিয়া বেড়াইতেছে, তখনই আমার সন্দেহ হইল যে, সে নিশ্চয়ই হীরাখানি কুড়াইয়া পাইয়া ছিল এবং এই পুতুলের মাটির সঙ্গে রাখিয়াছিল। সকল পুতুলই এক প্রকার, সুতরাং কোনটি সেই হীরা সমেত মাটি দিয়া গঠিত, তাহা জানিতে না পারিয়া, একে একে সকলগুলিই ভাঙ্গিতে লাগিল।
সা। যেগুলি বিক্রয় হইয়াছিল, তাহার সন্ধান পাইলে কিরূপে?
আ। পাঁচখানি প্রতিমার বায়না দেওয়া ছিল। সকলেই অগ্রিম দাম দিয়াছিল। যে খাতায় সেই সকল লোকের নাম ধাম লেখা আছে, তা জহরলাল জানিত, এর মধ্যে মধ্যে সেও উহাতে লিখিয়া থাকিত।
স। কয়খানি প্রতিমা প্রস্তুত হইয়াছিল?
আ। ছয়খানি। তাহার মধ্যে পাঁচখানির মূল্য আগেই দেওয়া হইয়াছিল, অবশিষ্ট একখানি আমি কিনিয়া লইলাম।
সা। আপনার পুতুলের মধ্যেই যে হীরা আছে, তাহা কি করিয়া জানিলেন?
আ। যখন জহরলাল পাঁচখানি ভাঙ্গিয়া পায় নাই, তখন নিশ্চয়ই বুঝিলাম, ইহার মধ্যে আছে।