পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চেনা দায়।
১৯

 আমি। আচ্ছা বছিরুদ্দিন! আমরা যদি সেই সকল অলঙ্কার গ্রহণ করি, তাহা হইলে উহা আমরা বিক্রয় করিব কি প্রকারে?

 বছিরুদ্দিন। তাহা অতি সহজ। একজন বিশ্বাসী স্বর্ণকারকে কিছু দিয়া, যদি তাহার দ্বারা সেই সকল অলঙ্কার গলাইয়া ফেলিতে পারি, তাহা হইলে আমাদিগের আর কোনরূপ চিন্তাই থাকিবে না। যেস্থানে ইচ্ছা, সেই স্থানে লইয়া গিয়া, যাহার নিকট ইচ্ছা হইবে, তাহার নিকটে অনায়াসেই বিক্রয় করিতে পারি। কিন্তু সেই সকল অলঙ্কার গলাইয়া ফেলিতে পারে, যদি এরূপ কোন বিশ্বাসী লোক প্রাপ্ত না হই, তাহা হইলে রহিয়া বসিয়া সেই সকল অলঙ্কার বিক্রয় করিতে হইবে, অর্থাৎ নিজের পরিবারের গহনা পরিচয়ে দুই একখানি করিয়া, ক্রমে ক্রমে উহা বিক্রয় করিতে হইবে।

 আমি। দেখ বছিরুদ্দিন! আমি তোমার নিকট হইতে সমস্ত অবগত হইলাম। মনে হইতেছে, সেই সকল গহনা আমরা উভয়ে মিলিয়া ক্রয় করি; কিন্তু এত টাকা কোথায় পাইব? দশ হাজার টাকা সংগ্রহ করা, আমাদিগের ন্যায় মনুষ্যের পক্ষে কি সহজ কথা?

 বছিরুদ্দিন। দশ হাজার টাকাই যে আপনাকে সংগ্রহ করিতে হইবে, তাহা নহে। আমার বোধ হয়, সবিশেষ চেষ্টা করিলে, উহার মূল্য আরও দুই এক হাজার কম করিতে সমর্থ হইব। তদ্ব্যতীত আমার নিকটেও সামান্য কিছু আছে, তাহা দিয়াও আমি কিছু সাহায্য করিতে পারি।

 আমি। তুমি কত টাকা দিয়া আমাকে সাহায্য করিতে পারিবে?