পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
দারোগার দপ্তর, ৮৪ম সংখ্যা।

 সেই ব্যক্তি। আমি ত পূর্ব্বেই তোমাকে বলিয়াছি যে, একত্র ভিন্ন এই সকল অলঙ্কার কোনরূপেই বিক্রয় করা হইবে না। একবারে লইতে হইলে তোমরা কত টাকা পর্য্যন্ত দিতে পারিবে?

 বছিরুদ্দিন। পাঁচ হাজার টাকা।

 সেই ব্যক্তি। তাহা কি কখন হয়? কোথায় বিশ হাজার টাকা মূল্যের অলঙ্কারের দাম দশ হাজার, তাহাও না হইয়া, একবারে পাঁচ হাজার! ইহা কোনরূপেই হইতে পারে না।

 বছিরুদ্দিন। তাহা না হইলে আমরা কোনরূপেই আর অধিক টাকার সংগ্রহ করিতে পারিব না। তবে যদি তাহাতে আপনি একান্তই সম্মত না হন, তাহা হইলে না হয়, আর এক সহস্র টাকা পর্য্যন্ত যেরূপে হউক, সংগ্রহ করিয়া আপনাকে প্রদান করিব, তাহার অধিক আমরা কোনরূপেই দিতে পারিব না। ইহাতে যদি আপনি একান্ত অপারগ হয়েন, তাহা হইলে এই সকল অলঙ্কার আর আমরা গ্রহণ করিতে পারিব না।

 “উভয়ের মধ্যে এইরূপ কথাবার্ত্তা হইলে পর, তাহারা আমাকে সেই গৃহের মধ্যে রাখিয়া বাহিরে গমন করিল, এবং উভয়ে কিয়ৎক্ষণ কি পরামর্শ করিয়া পুনরায় সেই গৃহের ভিতর প্রত্যাবর্ত্তন করিল।

 “যাহার নিকট অলঙ্কারগুলি ছিল, তিনি অলঙ্কারের বাক্স লইয়া সেই ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন।

 তিনি বাহির হইয়া যাইলে পর, বছিরুদ্দিন আমাকে কহিল, “আমি উঁহাকে অনেক বুঝাইয়া দেখিলাম; কিন্তু উনি কোন রূপেই আট হাজার টাকার কমে স্বীকার করেন না। পরিশেষে অনেক কষ্টে ও অপরাপর প্রলোভন দেখাইয়া সাত হাজার টাকায়