বছিরুদ্দিন। কি?
আমি। এই কলিকাতা সহর জুয়াচোরে পরিপূর্ণ। তাহা বোধ হয়, তুমি অবগত আছ।
বছিরুদ্দিন। তাহা আর আমি জানি না; কিন্তু এ সম্বন্ধে আমরা কিরূপে জুয়াচোরের হস্তে পতিত হইতে পারি?
আমি। তাহার অনেক উপায় আছে।
বছিরুদ্দিন। কি?
আমি। আমরা ইঁহাকে অগ্রে টাকা প্রদান করিব; কিন্তু পরিশেষে যদি ইনি আমাদিগকে অলঙ্কারগুলি প্রদান না করেন, তাহা হইলে কি উপায় হইবে?
বছিরুদ্দিন। কেন?
আমি। তাহা হইলে নালিশ করিয়া ইঁহার নিকট হইতে টাকা আদায় করা দূরে থাকুক, আমরা জানিয়া শুনিয়া চুরি করা দ্রব্য গ্রহণ করিবার নিমিত্ত উহাকে অর্থ প্রদান করিয়াছি, একথা কাহারও নিকট বলিতে পারিব না। তাহা হইলে আমাদিগের দশা কি হইবে, তাহা একবার ভাবিয়া দেখ দেখি।
বছিরুদ্দিন। আপনার এ চিন্তা করিবার প্রয়োজন নাই।
আমি। কেন?
রছিরুদ্দিন। আপনি বেশ জানিবেন, ইনি আমার সবিশেষ বিশ্বাসী, এবং অনেকদিবসের পরিচিত হইলেও, আমি ইঁহাকে একবারে এত টাকা দিয়া কখনও বিশ্বাস করিব না।
আমি। তাহা হইলে তুমি কি করিবে?
বহিরুদ্দিন। গহনাগুলি অগ্রে বুঝিয়া লইব, তাহার পর তাঁহার হস্তে টাকা প্রদান করিব।