পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চেনা দায়।
৩৭

 “গহনার বাক্স রাখিয়া তিনিও পরিশেষে সেই বাহিরের ঘরে আসিয়া আমাদিগের নিকট উপবেশন করিলেন।

 “পরিশেষে আমাদিগের সহিত এইরূপ সাব্যস্ত হইল যে, কল্য এই গহনাখানি আমরা যাচাইয়া দেখিব, এবং টাকার সংগ্রহ করিয়া, পরশ্ব সন্ধ্যার পর, সেই স্থানে আগমন করিয়া গহনাগুলি লইয়া প্রস্থান করিব।

 “এইরূপ কথাবার্ত্তা স্থির হইয়া গেলে, আমরা সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলাম। রাস্তায় গমন করিবার সময় বছিরুদ্দিন আমাকে জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি গহনাগুলি আপন চক্ষে ত দেখিলেন, উহা দেখিয়া আপনার কি মনে হয়?”

 আমি। এখন আমার মনে আর কোনরূপ সন্দেহ উপস্থিত হয় না। কারণ, সেই লোকটী যখন সমস্ত অলঙ্কারই সম্পূর্ণ বিশ্বস্তচিত্তে আমাদিগের হস্তে যাচাইয়া দেখিবার নিমিত্ত প্রদান করিতে প্রস্তুত আছেন দেখিলাম, তখন উহা কৃত্রিম অলঙ্কার বলিয়া আমার মনে হয় না।

 বছিরুদ্দিন। তাহা হইলে বোধ হইতেছে, উহা প্রকৃতই সুবর্ণের অলঙ্কার?

 আমি। আমার ত সেইরূপ অনুমান হইতেছে।

 বছিরুদ্দিন। যে কার্য্য করিতে হইবে, তাহা পূর্ব্বে দেখিয়া শুনিয়া করাই কর্ত্তব্য। বিশেষতঃ সাত হাজার টাকা একবারে প্রদান করিতে হইতেছে।

 আমি। তাহা ত নিশ্চয়।

 বছিরুদ্দিন। এই নিমিত্তই আমি নিজ হস্তে একখানি গহনা উঠাইয়া লইয়া আসিলাম।