পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
দারোগার দপ্তর, ৮৪ম সংখ্যা।

 “আমার কথা শুনিয়া, আমার স্ত্রী কিছুই বুঝিতে পারিল না। কারণ, সে আমার সেই পাঁচ হাজার টাকার কথা কিছুমাত্র অবগত ছিল না। আমার যে অবস্থা ঘটিয়াছিল, এখন তাহার সমস্ত অবস্থা তাহাকে বলিলাম। আমার কথা শুনিয়া সে একটী দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিল এবং কহিল, “যাহা হইবার তাহা হইয়াছে, যাহা ঘটিবার তাহা ঘটিয়াছে, এখন আপন মনকে স্থির করিয়া যদি ইহার কোনরূপ উপায় করিতে পারেন, তাহার চেষ্টা দেখুন।” তাহার কথার উত্তরে আমি কহিলাম, “এখন আর আমি কি চেষ্টা দেখিব? যখন হস্তের টাকা হস্তান্তর করিয়া ফেলিয়া তাহার পরিবর্ত্তে কতকগুলি পিত্তলের অলঙ্কার ক্রয় করিয়াছি, তখন নিজের বুদ্ধিকে ধিক্কার দেওয়া ভিন্ন আর কি করিতে পারি?”

 “প্রত্যুত্তরে আমার স্ত্রী কহিল, “যাহার নিকট হইতে তুমি এই সকল অলঙ্কার ক্রয় করিয়াছ, তাহার বাড়ী ত তুমি চিন। ভাহার নিকট গমন করিয়া দেখ, সে এখন কি বলে।”

 “আমি আমার স্ত্রীর কথা শুনিয়া মনে করিলাম, এ পরামর্শ মন্দ নহে। মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া, যাহার নিকট হইতে অলঙ্কারগুলি ক্রয় করিয়াছিলাম, তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার মানসে তাহার বাড়ীতে গমন করিলাম। সেই স্থানে গিয়া দেখি; সেই বাড়ী শূন্য অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে, লোকজন কেহই সেই বাড়ীতে নাই। কোন্ ব্যক্তি সেই বাড়ীতে বাস করিত, তাহা জানিবার নিমিত্ত সেই স্থানে একটু অনুসন্ধান করিলাম; কিন্তু কেহই তাহার নাম বলিতে পারিল না। তাহাদিগের নিকট হইতে কেবলমাত্র ইহাই জানিতে পারিলাম যে, কেবলমাত্র