পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারােগার দপ্তর, ৮৪ম সংখ্যা।

প্রকাশ হইয়া পড়িল। তাহার এই জুয়াচুরির বিষয় প্রকাশিত হইয়া পড়িবার পরও কিছুদিবস পর্য্যন্ত কামিনী শ্রীঘরে গমন করিল না। কারণ, কুলবধূগণকে পাছে আদালতে গিয়া সাক্ষ্য প্রদান করিতে হয়, এই ভয়ে কেহই তাহার বিপক্ষে নালিশ করিতে সাহসী হইলেন না। অনেকেই কামিনীর উপর নালিশ করিলেন না বলিয়াই যে কামিনী একবারেই নিষ্কৃতি লাভ করিল, তাহা নহে। এইরূপ উপায়ে সে একবার একস্থান হইতে প্রায় তিন সহস্র মুদ্রার মূল্যের অলঙ্কার আত্মসাৎ করায়, সে আমা-কর্ত্তৃক ধৃত হয়। বিচারে তাহার দুই বৎসরের নিমিত্ত কারাবাসের আজ্ঞা হয়। জেল হইতে খালাস হইয়া আসিয়াও সে তাহার সেই জুয়াচুরি ব্যবসা একবারে পরিত্যাগ করিতে পারে নাই। যদিও মহিলামহলে তাহার এখন সে পশার বা সেইরূপ প্রতিপত্তি নাই, তথাপি সে তাহার সেই পুরাতন ব্যবসা এখনও একবারে পরিত্যাগ করিতে পারে নাই। সুযোগ পাইলে এখনও সে অপরকে প্রতারণা করিয়া থাকে। কিন্তু তাহার অবস্থা এখন অতি শোচনীয়।

 পাঠকপাঠিকাগণ মনে করিবেন না যে, কেবল একমাত্র কামিনীই এইরূপে ভদ্রমহিলাগণকে ঠকাইয়া আপন জীবন অতিবাহিত করিয়া থাকে। এই কলিকাতা সহরের মধ্যে এইরূপ কামিনী এখন শত শত বিদ্যমান।