পাতা:চ্যারিটি শো - বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ দৃশ্য (9 রাধা । বহুবারই তো, বললাম সার, এ সব বিজ্ঞাপন-শিল্পে অতিশয়োক্তি অলঙ্কার । ইনস্ । ( ধমক দিয়া ) এ চ্যারিটি শে। তবে কি ? রাধা। আজ্ঞে, এটা এ যুগের একটি বস্তুতান্ত্রিক আর্ট। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে যেমন বাস্তবের দোহাই দিয়ে বস্তিতত্ত্ব, আর মনস্তত্ত্বের নামে যৌনতত্ত্ব চলে—এই কম্পিটিশনের বাজারে চ্যারিটি শো নাম দিয়ে তেমনি, আর্টের মধ্যে বাস্তববাদের সঙ্গে কিঞ্চিৎ পরিচয় স্থাপন করতে চাই । ইনস্। তা হলে চ্যারিটি শো করে যে টাকা পেলে, সেটা— রাধা । ( বাধা দিয়া ) চ্যারিটি শোর আর্টে ঐটিই বাস্তববাদ, সার । নিজে শুতে ঠাই পায় না শঙ্করাকে ডাকে। আমিই খেতে পাই না, তার দেব কাকে ? এই কম্পিটিশনের বাজারে টাকা রোজগার করতে হলে আমন চ্যারিটি-ফ্যারিটির মত দু’চারটে গালভরা নাম করতে হয় সার ৷ নৈলে লোকে টাকা দেবে কেন, সার ? দেখচেন তো, কি হার্ড কম্পিটিশন ? ইনস্ । (হাসিয়া ফেলিল ) কিন্তু হার্ড কম্পিটিশনের বাজারেও একে জোচ্চ রি ছাড়া কিছুই বলা যায় না, রাধারমণ বাবু— রাধ। আপনাদের দয়ায় জোচ্চ রির কি কোনও জো রেখেছেন, হুজুর ? স্রেফ, সহানুভূতির অভাবেই দেশের অনেক শিল্পই যেমন গেছে, জোচ্চ রি-শিল্পও তেমনি যেতে বসেছে—এমন ইনটেলেকচুয়াল একটা আর্ট—এই কম্পিটিশনে—