এর সহজ ভাগ এই—
প্রাণে মোর
আছে তার
বাণী।
একে অন্যরকমেও ভাগ করা চলে। যথা—
প্রাণে মোর আছে
তার বাণী।
অথবা ‘প্রাণে’ শব্দটাকে একটু আড় করে রেখে—
প্রাণে মোর আছে তার
বাণী।
এই তিনটেই দশমাত্রার ছন্দের ভিন্ন ভিন্ন রূপ। তাহলেই দেখা যাচ্ছে ছন্দকে চিনতে হলে প্রথম দেখা চাই তার পদের মোট মাত্রা, তারপরে তার কলাসংখ্যা, তারপরে প্রত্যেক কলার মাত্রা।
১ ২ ৩ 8
সকল বেলা | কাটিয়া গেল | বিকাল নাহি | যায়
এই ছন্দের প্রত্যেক পদে সতর মাত্রা। এর চার কলা। অন্ত্য কলাটিতে দুই ও অন্য তিনটি কলায় পাঁচ পাঁচ মাত্রা। এই সতর মাত্রা বজায় রেখে অন্যজাতীয় ছন্দ রচনা চলে কলাবৈচিত্র্যের দ্বারা। যথা—
১ ২ ৩
মন চায় | চলে আসে | কাছে,
৪ ৫
তবুও পা | চলে না।
বলিবার | কত কথা | আছে,
তবু কথা | বলে না।
এ-ছন্দে পদের মাত্রা সতর, কলার সংখ্যা পাঁচ, তার মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ৪|৪|২|৪|৩। আঠারমাত্রার দীর্ঘপয়ারে প্রথম আট মাত্রার পরে যেমন স্পষ্ট যতি আছে, এই ছন্দের প্রথম দশ মাত্রার পরে তেমনি।