পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তেওয়ারী ও শ্রীমান্ বসন্তকুমার চক্রবর্তীর সাগ্রহ সহকারিতা আমাকে বিশেষ আনন্দ দান করেছে। সম্পাদনার কোনো-না-কোনো কাজের সঙ্গে যাঁরা কিছুপরিমাণেও যুক্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন আমার দুইজন অধ্যাপক সহকর্মী শ্রীজীবনকৃষ্ণ চৌধুরী ও শ্রীসত্যেন্দ্রনাথ রায়, আমার প্রাক্‌তন ছাত্র ও বর্তমানে পাঠভবনের অধ্যাপক শ্রীমান্ পূর্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্‌তন ছাত্র শ্রীমান্ শ্রীমন্তকুমার জানা। বাংলা পুঁথিবিভাগের সহকর্মী শ্রীপঞ্চানন মণ্ডলের নামও এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। শ্রীকানাই সামন্তের ছন্দজিজ্ঞাসা ও অভিজ্ঞতা সময়ে সময়ে আমার কাজে লেগেছে। শ্রীসুকুমার বসু মহাশয় তাঁর কাছে রক্ষিত ‘বিচিত্রা’ ক্লাবের আমন্ত্রণলিপিগুলি আমাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন দীর্ঘকাল পূর্বেই। এই আমন্ত্রণলিপিগুলির সহায়তা পেয়েই সত্যেন্দ্রনাথের ‘ছন্দ-সরস্বতী’ ও রবীন্দ্রনাথের ‘ছন্দের অর্থ’ প্রবন্ধ পাঠের তারিখ নিশ্চিতরূপে নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে। ‘পাঠপরিচয়’ প্রসঙ্গে যথাস্থানে তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, শ্রীযুক্ত বসু-মহাশয় কয়েকখানি আমন্ত্রণলিপির ফটোচিত্র তুলতে সম্মতি দিয়েও আমাকে উপকৃত করেছেন। ইদানীং আমার অনুরোধে তিনি ‘বিচিত্রা’র স্মৃতিকথা লিখে আমার হাতে দেন। উক্ত আমন্ত্রণলিপির দুখানি চিত্রসহ তা প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বভারতী পত্রিকায় (১৩৬৯ বৈশাখ-আষাঢ়)। এই প্রবন্ধটি নানা দিক্ থেকেই গবেষকদের কাজে লাগবে। ‘গদ্যছন্দ’ প্রবন্ধের পাঠপরিচয় প্রসঙ্গে এটির কথা যথাস্থানে উল্লিখিত হয়েছে। বিচিত্রার আমন্ত্রণলিপি তথা ছন্দপাণ্ডুলিপির সবগুলি চিত্রই তুলে দিয়েছেন স্কুল অব প্রিন্‌টিং টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক সুদক্ষ ফটোশিল্পী শ্রীজ্ঞানরঞ্জন সেন। পাণ্ডুলিপি-ব্যবহারে এবং অন্য কোনো কোনো বিষয়ে আনুকূল্য করেছেন বিশ্বভারতী রবীন্দ্রসদনের