পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সংজ্ঞাপরিচয়
২৩৩

|| || || | || |
পাঁচালী না। ম বিখ্যাতা | সাধারণ। মনোরমা।
| || || | || |
পয়ার ত্রি। পদী আদি | প্রাকৃতে হ । য় চালনা

 অনুষ্টুপ্ বর্গের অন্তর্গত এই পথ্যাবক্ত্র ছন্দই সব চেয়ে সুপরিচিত। তাই অনুষ্টুপ্ ছন্দ বলতে সাধারণত এই ছন্দকেই বোঝায়।

 অবয়ব (পৃ ১১৯)—এটিকে যথার্থ পারিভাষিক শব্দ বলা যায় না। পুর্ণযতির ছন্দোবিভাগ অর্থাৎ পংক্তিকেই বলা হয়েছে অবয়ব। অন্যত্র তাকেই বলা হয়েছে রূপকল্প (পৃ ৯৯)। দ্রষ্টব্য ‘চাল’।

 অমিত্রাক্ষর—অমিত্রাক্ষর মানে অমিল। কিন্তু অমিল ছন্দ মাত্রকেই অমিত্রাক্ষর বলা যায় না। ছন্দপরিভাষায় এ শব্দটি একটি বিশিষ্ট রূঢ়ার্থ অর্জন করেছে। রূঢ়ার্থে অমিত্রাক্ষর নামের দ্বারা পয়ারের প্রকারভেদ বোঝা যায়। যে পয়ারের পংক্তিপ্রান্তে মিল থাকে না এবং পংক্তির শেষে ‘বড়ো যতি’ অর্থাৎ পূর্ণযতি স্থাপন আবশ্যিক বলে গণ্য হয় না, সে পয়ারেরই পারিভাষিক নাম অমিত্রাক্ষর (পৃ ১৫৩)। এ ছন্দে পূর্ণযতির বিভাগ প্রায়শই পয়ারের চোদ্দ বা আঠার মাত্রার নির্দিষ্ট পংক্তিসীমা অতিক্রম করে যায়। তাই একে পংক্তিলঙ্ঘক (পয়ার) ছন্দ বলেও অভিহিত করা হয়েছে (পৃ ১৫৬) এবং পয়ার রচনার এই নূতন রীতিকে বলা হয়েছে পংক্তিলঙ্ঘন, লাইন ডিঙোনো চাল (পৃ ৬৯) বা প্রবহমানতা (enjambement, পৃ ২১৫)। কিন্তু ‘সংস্কৃতের অমিত্রাক্ষর রীতি’ (পৃ ১৯০) বলতে পংক্তিলঙ্ঘন বোঝায় নি, শুধু মিলহীনতাই বুঝিয়েছে।

 অযুগ্মধ্বনি (open syllable)—দ্রষ্টব্য ‘ধ্বনি’।

 অসমমাত্রার ছন্দ (পৃ ৩৬)—যে ছন্দে পূর্ণপর্বের আয়তন ছয় মাত্রা তাকে কোথাও বলা হয়েছে ‘ছয়মাত্রার ছন্দ’ (পৃ ১১-১২) এবং কোথাও বলা হয়েছে’ ‘ষড়ঙ্গী’ (পৃ ১০০)। এ ছন্দের পর্বগুলিতে অনেক স্থলেই দুটি করে তিনমাত্রার উপপর্ব থাকে। উপপর্বের এই আয়তনের হিসাবে