শেষভাগে পাঁচ মাত্রা। সত্যেন্দ্রনাথ-কৃত মন্দাক্রান্তার রূপান্তরেও শেষভাগে পাঁচ মাত্রা।—
ভরপুর অশ্রুর
বেদনা-ভারাতুর
মৌন কোন্ সুর
বাজায় মন।
রবীন্দ্রনাথ মন্দাক্রান্তাকে মাত্রা হিসাবে বাংলায় রূপান্তরিত করেছেন তিন স্থলে। তার মধ্যে দুই স্থলেই শেষভাগে চার মাত্রা (পৃ ৯৩, ১৩৪) এবং এক স্থলে পাঁচ মাত্রা (পৃ ১৯০)।
সংস্কৃত মন্দাক্রান্ত। ‘অমিত্রাক্ষর’, অর্থাৎ তার পংক্তিতে পংক্তিতে কিংবা ভাগে ভাগে মিল থাকে না। মিলহীন মাত্রিক বাংলা মন্দাক্রান্তার দৃষ্টান্ত দ্রষ্টব্য ১৯০ পৃষ্ঠায়।
মন্দাক্রান্তার শুধু মাত্রিক রূপ নয়, তার মূল ‘আক্ষরিক’ (অর্থাৎ দলমাত্রিক বা সিলেবিক) রূপের বাংলা দৃষ্টান্তও রবীন্দ্রনাথ উদ্ধৃত করেছেন (পৃ ৫)। যথা—
ইচ্ছা সম্যক্ ভ্রমণগমনে কিন্তু পাথেয় নাস্তি।
পায়ে শিক্লী মন উড়ু উড়ু, এ কি দৈবেরি শাস্তি!
এটির রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ দুটিমাত্র পদ উদ্ধৃত করেছেন। তার পূর্ণ চতুষ্পদ রূপ এই।—
— — — — ৴ ৴ ৴ ৴ ৴— — ৴ — — ৴ — —
টঙ্কাদেবী | কর যদি কৃপা | না রহে কোন জ্বালা
বিদ্যাবুদ্ধী | কিছুই কিছু না | খালি ভস্মে ঘি ঢালা।