কোনো কোনো প্রবন্ধ মূলতঃ সাধুরীতির ভাষায় রচিত হয় এবং সাময়িক পত্রেও ওই রূপেই প্রকাশিত হয়। কিন্তু গ্রন্থভুক্তির সময়ে ওগুলি চলতি রীতির ভাষায় রূপান্তরিত হয়। বর্তমান সংস্করণে পুরোপুরিভাবে সাময়িক পত্রে প্রকাশিত মূলপাঠই অনুসৃত হয়েছে, তাই তৎকালীন মূল ভাষারীতিও রক্ষিত হল। রচনাবলী-সংস্করণেও এই নীতি স্বীকৃত হয়েছে। এ সম্পর্কে প্রবন্ধগুলির স্বতন্ত্র পাঠপরিচয় দ্রষ্টব্য।
কোনো কোনো রচনা লিখিত ভাষণরূপে জনসমক্ষে পঠিত হয়েছিল। কিন্তু স্বরূপতঃ সেগুলি প্রবন্ধই এবং সাময়িক পত্রে প্রকাশকালে তথ। প্রথম গ্রন্থভুক্তির সময়ে এগুলি প্রবন্ধরূপেই স্বীকৃত হয়। বর্তমান সংস্করণেও এগুলি প্রবন্ধ বিভাগেই স্থাপিত হল। অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকৃতি অলিখিত (এবং অন্যের দ্বারা অনুলিখিত) ভাষণগুলিকে ‘ভাষণ’ বিভাগে স্থান দেওয়া গেল।
কোনো কোনো প্রবন্ধ বা প্রবন্ধাংশ প্রসঙ্গের সাদৃশ্যহেতু পূর্বপ্রকাশিত অন্য প্রবন্ধের সঙ্গে তার নূতন অথচ স্বতন্ত্র অঙ্গ-রূপে একত্র গ্রথিত হয়েছে। যথাস্থানে তার পরিচয় পাওয়া যাবে। নিম্নে তালিকা-আকারে রচনাগুলির সাময়িক পত্রাদিতে প্রকাশের তারিখ ও তৎকালীন নাম ইত্যাদি দেওয়া হল। যে-সব রচন। ‘ছন্দ’ গ্রন্থের প্রথম সংস্করণে ছিল না, এই সংস্করণেই প্রথম গৃহীত হল, সেগুলি তারকা-চিহ্নিত করে দেওয়া গেল।—
বাংলা ছন্দ:
১ ‘বাংলা ছন্দ’, সবুজপত্র ১৩২১ জ্যৈষ্ঠ
- ২ ‘বাংলা ছন্দ’, সবুজপত্র ১৩২১ শ্রাবণ
সংগীত ও ছন্দ: ‘সংগীতের মুক্তি’ (অংশ), সবুজপত্র ১৩২৪ ভাদ্র
ছন্দের অর্থ[১]: ‘ছন্দ’, সবুজপত্র ১৩২৪ চৈত্র
- ↑ ‘বিচিত্রা’ ক্লাবে পঠিত ১৩২৪ সালের ৬ চৈত্র তারিখে।