পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৫
ছন্দ
১৫

ংলা ছন্দ - ১৫

বলো, ছুইয়ের যোগে তবে চলে । সেই দুইয়ের নিয়মিত গতির উপরে যদি একট। একের অতিরিক্ত ভার চাঁপাঁনো যায় তবে সেই গতিতে একটা অনিয়মের বেগ পড়ে, সেই অনিয়মের ঠেলায় নিয়মিত গতির বেগ বাঁড়য়া যায় এবং তাহার বৈচিত্র্য ঘটে। মানুষের শরীর তাহার ৃষ্টাস্ত। চাঁরপেয়ে মান্য যখন সোজা হইয়া দীড়াইল তখন তাহার কোমর হইতে মাথা পর্স্ত টলমলে এবং কোঁমর হইতে পদতল পর্যস্ত মজবুত হওয়াঁতে এই ছুইভাগের মধ্যে অসামপ্রস্য ঘটিয়াছে। এই অসামপ্রস্তকে ছন্দে সাঁমলাইবার জন্য মানুষের গতিতে মাথা হাত কোমর পা বিচিত্র হিল্লোলে হিলোলিত হইতেছে । চাঁর পায়ের ছন্দ ইহাঁর চেয়ে অনেক সরল।

অতএব বাংল ছন্দকে সমমীত্রা, অপমমাত্রা। এবং বিষমমাত্রায় শ্রেণী- বদ্ধ করা যাইতে পাঁরে। শুধু বাঁংল! কেন, কোনে। ভাষার ছন্দের আঁর কোনোপ্রকার ভাগ হইতে পাঁরে বলিয়। মনে করিতে পারি না। তবে প্রভেদ হয় কিসে? মাত্রাগুলির চেহারায় ।

সংস্কৃত ভাষায় অসমান স্বর ও ব্যঞ্জনগুলিকে কৌশলে মিলাইয়া সমান মাত্রায় ভাগ করিতে হয়, তাহাতে ধ্বনির বৈচিত্র্য ও গাভীর্ধ ঘটে। যথা

। ) ) | ব্দসি যদি | কিঞ্চিদপি | দত্তরুচি | -কৌমুদী | ধ্রতি দর | -িমসিরমতি | রাহা ইহ! পাঁচমাত্র। অর্থাৎ বিষমমাত্রার ছন্দ। বাঙালি জয়দেব তাহার গানে সংস্কৃতভাষাঁর যুক্তবর্ণের বেণী যথাসম্ভব এলাইয়া দিতে ভাঁলো- বামিতেন, এইজন্য উপরের উদ্ধৃত শ্লৌকাংশটি যথেষ্ট ভালো দৃষ্টাস্ত নহে।,

১. জয়দেব : গীতগোবিন্দ, গীত ১৯।১। দ্রষ্টব্য : “মাত্রাবৃত্, সংজ্ঞাপরিচয়-বিভাগ ।