পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২৭
ছন্দ
২৭

হল.

ছন্দের অর্থ

শুধু কথা যখন খাড়া দাড়িয়ে থাকে তখন কেবলমাত্র অর্থকে প্রকাশ করে। কিন্ত সেই কথাকে যখন তির্ধক ভঙ্গি ও বিশেষ গতি দেওয়া যায় তখন সে আপন অর্থের চেয়ে আরও কিছু বেশি প্রকাশ করে। সেই বেশিটুকু ঘেকী তা বলাই শক্ত। কেননা তা কথার অতীত, স্থতরাং অনির্বচনীয়। ঘা আমরা দেখছি শুনছি জানছি তার সঙ্গে যখন অনির্বনীয়ের যোগ হয় তখন তাকেই আমরা বলি রস। অর্থাৎ 'সে-জিনিসটাকে অনুভব করা যায়, ব্যাখ্যা করা যায় না। সকলে জানেন এই রসই হচ্ছে কাব্যের বিষয়।

এইখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার, অনির্বচনীয় শব্দটার মানে অভাবনীয় নয়। তাঁষদি হত তাহলে ওটা কাব্যে অকাব্যে কুকাব্যে কোথাও কোনো কাজে লাগত না। বন্ত পদার্থের সংজ্ঞ৷ নির্ণয় করা যায়, কিন্ত রস পদার্থের করা যায় না। অথচ রস আমাদের একান্ত অনুভূতির বিষয়। গোলাপকে আমরা বস্তরবূপে জানি, আর গোলাঁপকে আমরা রসরূপে পাই। এর মধ্যে বস্ত-জানাকে আমরা সাদা কথায় তার আকার আয়তন ভার কোমলতা প্রভূতি বহুবিধ পরিচয়ের স্বারা ব্যাখা। করতে পারি, কিন্তু রস পাওয়া এমন একটি অথগ্ড ব্যাপার ষে তাকে তেমন করে সাদা কথায় বর্ণনা করা যায় ন1; কিন্তু তাই বলেই সেটা অলৌকিক অদ্ভুত অসামান্য কিছুই নয়। বরঞ্চ রসের অঙ্গভূতি বস্তজ্ঞানের চেয়ে আরো! প্রবলতর গভীরতর | এই জন্য গোলাপের আনন্দকে আমরা যখন অন্যের মনে সঞ্চার করতে চাই তখন একট! সাধারণ অভিজ্ঞতার রান্তা দিয়েই করে থাকি । তফাত এই, বস্ত- আ্মভিজ্ঞতার ভাষা সাদা কথার বিশেষণ, কিন্তু রস-অভিজ্ঞতার ভাষা