ছন্দের অর্থ ২৯
খন দেই বেগ গ্রহণ করে তখনই আমাদের হৃদয়ভাবের সঙ্গে তার মিল ঘটে।
এই-বেগের কত ৈচিত্রই ঘষে আছে তার ঠিকানা নেই। এই “বেগের বৈচিত্র্যেই তো আলোকের রং বদল হচ্ছে, শবের সুর বদল হচ্ছে, এবং লীলাময়ী স্ট্টি রূপ থেকে রূপান্তর গ্রহণ করছে। এমন কি স্ষ্টির বাইরের পর্দ সরিয়ে ভিতরের রহস্তনিকেতনে যতই প্রবেশ করা যায় ভতই বস্তত্ব ঘুচে গিয়ে কেবল বেগই প্রকাশ পেতে থাকে । শেষকালে এই কথাই মনে হয় প্রকাশবৈচিত্র্যের মূলে বুঝি এই বেগবৈচিত্র্য। যদিদং সর্বং প্রাণ এজতি নিঃস্তং ।
মানুষের সত্তার মধ্যে এই অশ্থভূতিলোকই হচ্ছে সেই রহস্তলোক যেখানে বাহিরের রূপজগতের সমস্ত বেগ অন্তরে আবেগ হয়ে উঠছে, এবং সেই অন্তরের আবেগ আবার বাহিরে রূপ গ্রহণ করবার জন্যে উৎস্থক হচ্ছে । এই জন্যে বাক্য যখন আমাদের অনুভূতিলোকের বাহনের কাজে ভতি হয় তখন তার গতি নাহলে চলে না। সে তার অর্থের দ্বার! বাহিরের ঘটনাকে ব্যক্ত করে, গতির দ্বার! অন্তরের গতিকে প্রকাশ করে।
শ্টামের নাম রাধা শুনেছে । ঘটনাটা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু যে- ্রকটা! অনৃষ্ঠ বেগ জন্মাল তার আর শেষ নেই। আসল ব্যাপারটাই হুল তাই। সেই জন্যে কবি ছন্দের ঝংকারের মধ্যে এই কথাটাকে ছুলিয়ে দিলেন । যতক্ষণ ছন্দ থাকবে ততক্ষণ এই দোলা আর থামবে না। “সই, কেবা শুনাইল শ্টাম নাম।” কেবলি ঢেউ উঠতে লাগল। ও কটি কথা ছাপার অক্ষরে যদিও ভালো মানুষের মতো দাড়িয়ে থাকার ভান করে, কিন্তু ওদের অস্তরের স্পন্দন আর কোনো দিনই শাস্ত হবে না। ওর! অস্থির হয়েছে, এবং অস্থির করাই ওদের কাজ।
আমাদের পুরাণে ছন্দের উৎপত্তির কথাযা বলেছে তা সবাই