পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩২
ছন্দ
৩২

৩২ ছন্ন

জন্গে যে, বাইরের ঘটনাগুলি সংসারের জাল বুনতে বুনতে নান! প্রয়োজন সাধন করতে করতে সরে যায় চলে যায়, তাদের নিজের অধ্যে নিজের কোনো চরম মূল্য নেই। কিন্তু আমাদের চিত্রের যে আত্মপ্রকাশ তার আপনাতেই আপনার চরম, তার মূল্য তার আপনার মধ্যেই পর্যাপ্ত । তমসাঁতীরে ক্রৌঞ্চবিরহিণীর ছুঃংখ কোনো" খানেই নেই, কিন্তু আমাদের চিত্তের আত্মান্থভৃতির মধ্যে সেই বেদনার তার বাধা হয়েই আছে । সে ঘটনা এখন ঘটছে না, বা সে ঘটনা কোনো কালেই ঘটেনি এ কথা তার কাছে প্রমাণ কবে কোনে! লাভ নেই।

যাহোক, দেখা যাচ্ছে গানের স্পন্দন আমাদের চিত্তের মধ্যে যে-আবেগ জন্মিয়ে দেয় সে কোনে সাংসারিক ঘটনামূলক আবেগ নয়। তাই মনে হয় স্থষ্টির গভীরতার মধ্যে যে একটি বিশ্বব্যাপী প্রাণকম্পন চলছে, গান শুনে সেইটেরই বেদনাবেগ যেন আমর! চিত্তের মধ্যে অস্থভব করি। ভৈরবী যেন সমস্ত ব্যষ্টির অস্তরতম বিরহব্যাকুলতা 'দেশমল্লার যেন অশ্রগঙ্গোত্রীর কোন্‌ আদিনির্বরের কলকল্লোল। এতে করে আমাদের চেতন! দেশকালের সীম! পার হয়ে নিজের চঞ্চল প্রাণধারাকে বিরাটের মধ্যে উপলব্ধি করে।

কাব্যেও আমর! আমাদের চিত্তের এই আত্মান্ভূতিকে বিশুদ্ধ এবং সুক্তভাবে অথচ বিচিত্র আকারে পেতে চাই। কিন্তু কাব্যের প্রধান উপকরণ হল কথা । সে তো স্থবের মতো স্বপ্রকাশ নয়। কথা অর্থকে জানাচ্ছে । : অতএব কাব্যে এই অর্থকে নিয়ে কারবার করতেই হবে। কাই গোড়ায় দরকার এই অর্থটা যেন রসমূলক হয়। অর্থাৎ সেটা এমন কিছু হয় যা শ্বতই আমাদের মনে স্পন্দন সঞ্চার করে, যাকে "আমরা বলি আবেগ ।

কিন্তু যেহেতু কথ! জিনিসটা! স্বপ্রকাশ নয়, এই জন্যে স্থরের মতো! কথার সঙ্গে আমাদের চিত্তের সাধর্ম নেই। আমাদের চিত্ত বেগবান,