পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৬
ছন্দ
৩৬

৩৬ ছনা

তিন মাত্রার চলনকে বলি অসমমাত্রার চলন এবং ছুই-তিনের মিলিত মাত্রার চলনকে বলি বিষমমাত্রার ছন্দ | ফিরে ফিরে আঁখি নীরে পিছুপানে চায়। পায়ে পায়ে বীধাপড়ে চলাহল দার। এ হুল ছুই মাত্রার চলন। ছুইয়ের গুণফল হার বা আটকেও আমর! এক জাতিরই গণ্য করি । নয়নধারার় পথে হারায়, চীয় দেপিছন পানে, চলিতে চলিতে চরণ চলে না, ব্যথার বিষম টানে। এ হল তিন মাত্রীর চলন । আর যতই চলে চৌখের জলে নয়ন ভরে ওঠে, চরণ বাঁধে, পরান কাদে, পিছনে মন ছোটে। এ হল ছুই-তিনের যোগে বিষম্মাত্রার ছন্দ। তাহলেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে চলনের ভেদেই ছন্দের প্রককতি- ভেদ। [আমরা যে-ছুটি ইংরেজি কবিতা উপরে উদ্ধত করেছি তার মধ্যে একটার চলন সমমাত্রার অর্থাৎ ছুই মাত্রার, অন্থটার চলন অসমমাত্রার অর্থাৎ তিন মাত্রার; তাল দিয়ে গুনে দেখলেই সেটা ধরা পড়বে । ইংরেজিতে বিষমমাত্রার ছন্দ আমার চোখে পড়েনি। ] বৈষ্ণব পদ্দাবলীতে বাংল! সাহিত্যে ছন্দের প্রথম ঢেউ ওঠে। কিন্তু দেখা যায় তার লীলাবৈচিত্রা সংস্কৃত ছন্দের দীর্ঘনৃম্ব মাত্রা অবলম্বন করেই প্রধানত প্রকাশ পেয়েছে । প্রাকৃত বাংলায় যত কবিতা আছে তার ছন্দসংখা! বেশি নয়। সমমাত্রার ছন্দের দৃষ্টাত্ত-_ কেন তোরে আনমন দেখি। কাহে নখে ক্ষিতিতল লেখি। এ ছাড়া পয়ার এবং ভ্রিপদী আছে, সেও. সমমাত্রার ছন্দ। অসমমাত্রার অর্থাৎ তিনের ছন্দ চার রকমের পাওয়া ষায়।