পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪২
ছন্দ
৪২

৪২ .. ছন্দ.

কিংবা কেবল শেষ ছেদে একটি দেওয়া যেতে পারৈ ।.. যেমন-. ফাগুন এল দ্বারে কেছ হে ঘরে না-জা”ই। কিংবা যতি একেবারেই না দেওয়া যেতে পায়ে । পুনশ্চ এই ছনেরই মাত্রাসমগ্টি সমান রেখে এরই পদক্ষেপমান্জার পরিবর্তন করে যদি পড়া যায় তাহলে গ্লোকটি চোখে দেখতে একই রকম খাকবে কিন্তু কানে শুনতে অন্য রকম হবে। এইখানে বলে রাখি, ছন্দের প্রত্যেক ভাগে একটা করে তালি দিলে পড়বার স্থবিধা হবে এবং এই তালি অনুসারে ভিন্ন ছন্দের ভিন্ন লয় ধৰা পড়বে। প্রথমে সাত মাত্রাকে তিন এবং চারে স্বতন্ত্র ভাগ করে পড়া যাক। যেমন-- তালি তালি তালি তালি ফাণ্ডন এলছ্বারে কেহযে ঘরে নাই, পরান ডাকে কারে ভাবিয়া নাহি পাই। তারপরে পাঁচ-দুই ভাগ করাযাক। যেমন-- তালি তালি তালি তালি ফাগতদ এল দ্বারে কেহযেঘরে নাই, পরানডাকে কারে ভাবিয়া নাহি পাই। এই চোদ্দ মাত্রাসমষ্টির ছন্দ আরো! কত রকম হতে পারে তার কতকগুলি নমুন! দেওয়া যাক। ছুই-পাচ দুই-পাচ ভাগের ছন্দ, যথা _-

/ ।

মেষে আপনমনে শুধু দিবস গ্রণেই

তার চোধেরবারি কীপে আঁখির কোপে। চার-তিন চার-তিন ভাগ_-

। । 1 7 নয়নের সলিলে যেকথাটি বলিলে রবে তাহা ম্মরণে জীবনে ও মরণে।

১. এই প্রতোষ্ই দণ্ডচিক্কের অনুসরণ করে তাঁল দেওয়া আবশ্তক ।