ডাক্তার প্রস্থান করিলেন। আমিও অফিস ঘর বন্ধ করিতে গাদেশ করিয়া বাসায় প্রস্থান করিলাম।
পরদিন জমীদার-পুত্রের কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে পারি নাই। যে কার্য্যের ভার সেদিন গ্রহণ করিয়াছিলাম, তাহাই যথাসম্ভব শেষ করিলাম।
পরদিন বেলা আটটার সময় এক কোচম্যানের ছদ্মবেশ ধারণ করিয়া সেই অভিনেত্রীর বাড়ীর নিকট ঘুরিতে লাগিলাম। অভিনেত্রীর প্রকাণ্ড বাড়ী। বাড়ীর পার্শ্বেই তাহার আস্তাবল। আস্তাবলে একজন সহিস ঘোড়ার গাত্র মলিতেছিল। আমি কথায় কথায় তাহার নিকট গমন করিলাম এবং তাহার কার্য্যে সাহায্য করিলাম। সহিস আমার কার্য্যে সন্তুষ্ট হইল। আমি তখন তাহার নিকট একটী কর্ম্মের প্রার্থনা করিলাম, সে সম্মত হইয়া বলিল যে, সুবিধা হইলেই সে আমার জন্য তাহার প্রভুকে বলিবে।
আমি বাস্তবিক চাকরীর চেষ্টায় যাই নাই, সুতরাং সহিসকে অভিনেত্রী-সংক্রান্ত অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিলাম। সহিস যে উত্তর করিল, তাহাতে সন্তুষ্ট না হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “ভাই সহিস! তোমার প্রভু কেমন?”
সহিস উত্তর করিল, “অমন মনিব পাওয়া যায় না। তাঁহাকে দেখিতে যেমন সুন্দরী, তাঁহার গুণও ততোধিক। এখন অনেকেই তাঁহার জন্য পাগল।”
আ। বটে! এমন সুন্দরী! আচ্ছা, তিনি কেন বিবাহ করেন না?
আমার কথায় সহিস হাসিয়া উঠিল। বলিল, “এ কি মুসলমান