যে, নিকা করিবে? হিন্দুরমণী বিধবা হইলে কি আর বিবাহ করে?”
আমিও হাসিয়া বলিলাম, “আজিকাল ব্রাহ্মমতে অনেকের বিবাহ হইয়া থাকে।
স। তা ত জানি না।
আ। এখন ইহাঁর প্রিয় পাত্র কে?
স। আগে একজন বড় জমীদারই প্রিয়পাত্র ছিলেন। কিন্তু আজকাল আর তাঁহাকে দেখিতে পাই না। গণপত নামে এক মাড়োয়ারী ইহাঁর প্রিয়পাত্র হইয়াছেন। বোধ হয়, ইনি তাঁহাকে বিবাহ করিবেন।
এই সংবাদ পাইয়া গণপতের সহিত দেখা করিবার ইচ্ছা হইল। আমি তাঁহার ঠিকানা জানিবার জন্য প্রশ্ন করিতে উদ্যত হইব, এমন সময়ে একখানি প্রকাণ্ড ল্যাণ্ডো অট্টালিকা দ্বারে লাগিল। সহিস সেই গাড়ী দেখিয়াই বলিয়া উঠিল, “ঐ যে গণপত বাবু স্বয়ং উপস্থিত!”
গাড়ীখানি স্থির হইলে উহার মধ্য হইতে একজন সু-পরিচ্ছদধারী মাড়োয়ারী অবতরণ করিলেন এবং অবিলম্বে বাটীর ভিতর প্রবেশ করিলেন।
প্রায় অর্দ্ধঘণ্টা পরে তিনি সহাস্যবদনে পুনরায় দ্বারদেশে উপনীত হইলেন এবং সেই গাড়ীতে আরোহণ করিয়া চীৎকার করিয়া বলিলেন, “ব্রাহ্ম সমাজ। যত শীঘ্র পার যাও।”
গণপতের মুখ হইতে কথা বাহির হইতে না হইতে কোচমান অশ্বে কশাঘাত করিল। গাড়ী সবেগে ব্রাহ্ম সমাজের দিক আসিতে লাগিল।