এই চিন্তা করিতে করিতে আমি আমার অফিসে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। বলা বাহুল্য, আমি তখনও ছদ্মবেশ পরিত্যাগ করি নাই।
অফিসে আসিয়া দেখি, ডাক্তার আমার জন্য অপেক্ষা করিতেছেন। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, তিনিও প্রথমে আমায় চিনিতে পারিলেন না। অনেকক্ষণ আমার দিকে নির্নিমেষ-নয়নে নিরীক্ষণ করিয়া, তিনি হাসিয়া ফেলিলেন। বলিলেন, “এ আবার কি! সহিসের চাকরী কবে হইতে করিতেছ?”
আমি হাসিয়া একটী প্রকোষ্ঠে গমন করিলাম এবং তথায় ছদ্মবেশ ত্যাগ করতঃ পুনরায় ডাক্তারের নিকট আগমন করিলাম। বলিলাম, “ডাক্তার! বড় বিপদ। এখন তোমার সাহায্য চাই।”
ব। আমিও সেইজন্য এখানে আসিয়াছি।
আ। কিন্তু কোম্পানীর আইন ভঙ্গ করিতে পারিবে?
ব। নিশ্চয় পারিব।
আ। যদি পুলিসের হাতে পড়?
ব। সৎকার্য্য হইলে তাহাতেও আপত্তি নাই।
আ। আমি অসৎ কার্য্যে নাই, তুমি জান বোধ হয়?
ব। নিশ্চয়ই জানি।
আ। অবে আমায় সাহায্য করিতে অঙ্গীকার করিলে?
ব। হাঁ, অঙ্গীকার করিলাম। এখন আমায় কি করিতে হইবে বল?
আ। সেই অভিনেত্রী আজ সন্ধ্যা সাতটার পূর্ব্বে বাড়ী আসিবে জানি। সেই সময় আমরা উভয়েই তথায় হাজির থাকিব।