চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
অর্দ্ধ ঘণ্টার মধ্যেই আমি ছদ্মবেশ পরিয়া আসিলাম। এবার আমায় দেখিয়া ডাক্তার হাস্য সম্বরণ করিতে পারিলেন না। আমি এক দরিদ্র ব্রাহ্মণের বেশ ধারণ করিয়াছিলাম, কেবল বেশ পরিবর্ত্তনেই ছদ্মবেশ হয় না, পরিচ্ছদের সঙ্গে সঙ্গে মুখের ভাব, গতি বিধি, অঙ্গ সঞ্চালন এই সমস্তও পরিবর্ত্তন করিতে হয়। আমার বন্ধু আমার এই নূতন সাজে বড়ই আনন্দিত হইলেন। অমরা যথাসময়ে সেই অভিনেত্রীর বাড়ীর নিকটে গমন করিলাম।
অভিনেত্রী সাতটার পূর্ব্বে বাড়ী ফিরিবে না, এ সংবাদ জানিতাম। আমরা যখন তাহার বাড়ীর নিকট উপস্থিত হইলাম, তখন বেলা ছয়টা মাত্র। তখনও এক ঘণ্টা সময় ছিল জানিয়া, আমরা উভয়ে নিকটস্থ এক পানের দোকানে আড্ডা করিলাম। কথায় কথায় আমি ডাক্তারকে বলিলাম, “যখন অভিনেত্রী গণপতকে বিবাহ করিয়াছে, তখন ছবিখানি বোধ হয় আর তাহার প্রয়োজন হইবে না। কারণ গণপত যদি কখনও সে ছবি দেখিতে পায়, তাহা হইলে অভিনেত্রীর প্রতি তাহার স্নেহের হ্রাস হইবে।”
ডাক্তার জিজ্ঞাসা করিলেন, কিন্তু ছবিখানি সে কোথায় রাখিয়াছে? ছবিখানি কত বড়, জানিয়াছ?”
আ। ক্যাবিনেট আকার। নিতান্ত ছোট নয়। সুতরাং অভিনেত্রী যে উহাকে সঙ্গে করিয়া ফিরিবে, তাহা বোধ হয় না।