ডা। সে ভয় নাই গোয়েন্দা মহাশয়! আজ নূতন তোমার কাজ করিতেছি না।
ডাক্তারের কথা শেষ হইবার ঠিক পরেই দেখিলাম, দূরে একখানি বড় ল্যাণ্ডো দুইটা প্রকাণ্ড তেজীয়ান ওয়েলার ঘোড়ার অতিবেগে অভিনেত্রীর বাড়ীর দিকে টানিয়া আনিতেছে। আমি বুঝলাম, কার্য্যের সময় উপস্থিত হইয়াছে। দেখিলাম, আমি যেমন যেমন বন্দোবস্ত করিয়াছিলাম, সমস্তই ঠিক আছে।
কিছু পরেই গাড়ীখানি অভিনেত্রীর বাড়ীর দ্বারে থামিল। অভিনেত্রী গাড়ী হইতে অবতরণ করিবামাত্র একজন ভিখারী তাহার নিকট একটী পয়সা চাহিল। তাহার দেখাদেখি, আরও দশ বার জন অভিনেত্রীর চারিদিকে বেষ্টন করিয়া ভিক্ষা চাহিতে লাগিল। ক্রমে ঠেলাঠেলি আরম্ভ হইল। পরে অভিনেত্রীর সম্মুখেই এক ভয়ানক দাঙ্গা উপস্থিত হইল। অনেকেই কোন না কোন পক্ষ অবলম্বন করিয়া মহা কোলাহল ও মারামারি করিতে লাগিল। ইত্যবসরে আমি বেগে সেই ভিড়ের মধ্যে প্রবেশ করিলাম।
দুই একটা লোকের সহিত সামান্য দাঙ্গা হাঙ্গামা করিয়া অভিনেত্রীর অতি নিকটে গোঁ গোঁ শব্দ করিতে করিতে পড়িয়া গেলাম। তখন দাঙ্গা কমিয়া গেল, অনেকেই আমার চারিদিকে বেষ্টন করিল।
আমার হাতে উৎকৃষ্ট আলতা ছিল। সেই আল তা মুখে চিবাইয়া হাতে মুখে মাখিয়া আবার হাত দুটী মুখে ঢাকা দিলাম। যখন মুখ হইতে হাত নামাইল; আমার মুখে রক্ত ও আমাকে অজ্ঞানবৎ পড়িয়া থাকিতে দেখিয়া সকলেই বলিল, “বেচারা মারা গিয়াছে।”