যাতে রাণী পদবাচ্য হইত, তাহা হইলে তাহা দ্বার আমার কত উপকার হইত?”
আমি বিদ্যুতের কথা স্বীকার করিলাম। বলিলাম, “আপনি যাহা বলিয়াছেন, তাহা সত্য। যে রমণী বুদ্ধিতে আমাকে পরাস্ত করিতে পারে, সে সামান্যা রমণী নহে। এপর্য্যন্ত অতি অল্প লোকেই আমাকে পরাজিত করিয়াছে, কিন্তু তাহার মধ্যে কেহ রমণী ছিল না। সেই অভিনেত্রী যে সর্ব্বাপেক্ষা বুদ্ধিমতী, ইহাই তাহার জ্বলন্ত প্রমাণ।”
বিদ্যুৎকাশ আমার কথায় সন্তুষ্ট হইলেন; বলিলেন, “তবে আর আমাদের বিলম্বের প্রয়োজন কি?”
আ। কিছুই নয়। আমি প্রস্তত।
বি। তবে আপনার ভৃত্যকে আমার গাড়ী আনিতে বলুন।
আ। আপনার গাড়ী কোথায়? আমি যখন বাড়ীতে প্রবেশ করি, তখন দরজায় কোন গাড়ী দেখি নাই।
বি। আপনার ভৃত্য জানে।
আ। সেকি!
বি। আমিই তাহাকে গাড়ীখানি গোপনে রাখিতে বলিয়া ছিলাম।
আ। কেন?
বি। শুনিতেছি, দেশ হইতে আমার সন্ধানে লোক আসিয়াছে। যদি তাহারা আমার গাড়ী দেখিতে পায়, এই জন্যই গোপনে রাখিতে বলিয়াছিলাম।
আমি সহাস্যমুখে বলিলাম, “তবে চলুন, আপনি কাল প্রাতেই যাহাতে দেশে যাইতে পারেন, তাহার উপায় করা