ডা। যখন তুমি কিছু পার নাই, তখন আমি কোন্ ছার।
আ। সে কথা বলা যায় না।
ডাক্তার চিঠিখানি অনেকবার পড়িলেন। কিন্তু কোন কথা বলিতে পারিলেন না। তখন আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “ডাক্তার, তোমার বিশেষ কিছু কাজ আছে?”
ডা। কই না।
আ। খানিকক্ষণ এখানে থাকিতে পারিবে?
ডা। নিশ্চয়ই পারিব।
আ। স্ত্রীর কাছে কৈফিয়ৎ দিতে হইবে না ত?
ডা। বোধ হয় না।
আ। কেন?
ডা। তুমি যখন মাঝে আছ, তখন আমি সে ভয় করি না। তোমার উপর আমার স্ত্রীর যথেষ্ট বিশ্বাস আছে।
আ। তবে ভালই হইয়াছে, রাত্রি সাড়ে সাতটা বাজিয়া গিয়াছে। ঠিক আট্টার সময় তিনি আসিবেন লিখিয়াছেন।
ডা। বেশ কথা। আমি অনেক দিন তোমার কাজ দেখি নাই। বড় সৌভাগ্যবশতই আজ এখানে আসিয়াছি।
আ। তবে এই আধ ঘণ্টা কোন সংবাদপত্র পাঠ কর। তিনি এখনই আসিবেন।
আট্টা বাজিবার অব্যবহিত পরেই আমার ভৃত্য গৃহ মধ্যে প্রবেশ করিয়া বলিল, “একটী বাবু আপনার সহিত নির্জ্জনে দেখা করিতে চান।”
ভৃত্যের কথা শুনিয়া আমি বলিলাম, “বাবুকে এখানে আন।”
ভৃ। তিনি এখানে আসিতে চান না।