আ। কেন?
ভৃ। আমি ডাক্তার বাবুর কথা তাঁহাকে বলিয়াছি।
আ। কেন বলিলে?
ভৃ। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনার নিকট কেহ আছে কি না? আমি তাঁহাকে সত্য কথাই বলিয়াছি।
আ। বেশ করিয়াছ। এখন আমার নাম করিয়া তাঁহাকে এখানে লইয়া আইস।
ভৃত্য প্রস্থান করিল এবং অবিলম্বে একজন সুপরিচ্ছদধারী সম্ভ্রান্ত যুবককে সঙ্গে করিয়া আনিল।
যুবককে দেখিতে অতি সুপুরুষ। বয়স পঁচিশের অধিক নহে। তিনি নাতিশীর্ণ, নাতিস্থূল; তাঁহার চক্ষুদ্বয় আয়ত, বর্ণ গৌর; তাঁহার পরিধানে একখানি সুন্দর ঢাকাই কাপড়, গায়ে ভাল বনাতের কোট, তাহার উপর একখানি বহুমূল্য শাল। পায়ে পম্-সু। হাতে স্বর্ণমণ্ডিত একগাছি ফ্যান্সি লাঠী। চক্ষে স্বর্ণের চশমা।
গৃহে প্রবেশ করিয়া যুবক আমার বন্ধু ডাক্তারের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন এবং পরক্ষণেই মুখ বিকৃত করিয়া আমার দিকে চাহিলেন। আমি তাঁহার মনোভাব বুঝিতে পারিলাম এবং নিকটস্থ একখানি আরাম-চৌকিতে বসিতে বলিলাম। যুবক আমার কথামত চেয়ারে উপবেশন করিলেন।
আমি তখন যুবককে ভাল করিয়া দেখিতে লাগিলাম, কিন্তু তাঁহাকে আর কোথাও দেখিয়াছি বলিয়া বোধ হইল না। যুবক কিন্তু গৃহে প্রবেশ করিয়াই আমাকে চিনিতে পারিয়াছিলেন। নতুবা তিনি ডাক্তারের দিকে ওরূপ ভাবে চাহিবেন কেন?