পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বক্ষঃস্থলে,-ঠিক হৃৎপিণ্ডের উপরে, একটা ভয়ানক ক্ষত। উহা হইতে ঝলকে ঝলকে রক্ত ৰূরিয়া পড়িতেছে। মুখখানি বিষাদে মলিন। নয়নে অশ্রুধারা। মূৰ্ত্তি বড়ই কাতর দৃষ্টিতে, আনির মুখের পানে, স্থির নয়নে, চাহিয়া রহিয়াছে। । অন্যে যে স্থানটি শূন্য দেখিতেছিল, আনি সেই স্থানেই এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখিয়া আড়ষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু এই ভীষণ দৃশ্য হইতে আনির চক্ষু কিছুক্ষণ আর ফিরিল না। আনি, খানিক পরেই, অতি করুণ কণ্ঠে চীৎকার করিয়া উঠিল। ... সে আর্ভরবে সকলেই যার-পর-নাই আকুলিত ও অন্তরে একান্ত আহতবৎ छ्छ्रेगन । - জেন আবার কম্পিত দেহে আনির নিকটস্থ হইয়া, এবং বাহুপাশে আনিকে বুকে লইয়া, কম্পিত স্বরে কহিল, -“আনি, আজি অকস্মাৎ তোর এ কি হইল বোন আমার ?” জেন বহু চেষ্টা করিল, কিছুতেই তখন আনির সংজ্ঞা জন্মাইতে পারিল না। আনির বিস্ফারিত চক্ষু আরও বিস্ফারিত হইল। কিন্তু উহা, চিত্রনিবন্ধ প্রস্ফুট পুষ্পের ন্যায়, ঐ নির্দিষ্ট স্থানেই এ যে কি বিচিত্র ব্যাপার, কেহই তাহা প্রথম স্থির করিতে পারিলেন না। কেহ মনে করিলেন, আনির হঠাৎ উৎকট পীড়ার আক্রমণ হইয়াছে; কেহ বুঝিলেন, মনের আবেগে অকস্মাৎ ছাঁ ঘঞ্জয়াছে। সকলে, আনির চারিদিকে দাঁড়াইয়া, এইরূপ ও জল্পনা করিতেছেন, এমন সময়ে, ঐরূণু আড়ষ্ট ও অচেতন ।