পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

stific 38t ফোর্ডের নিভৃত কক্ষে প্রবেশ করিয়াই, তাহার চরণোপান্তে জানু পাতিয়া উপবেশন করিল, এবং কহিল,-“আমি চলিলাম, —চিরজীবনের তরে চলিলাম। সৈনিক-ব্রতে ব্ৰতী হইয়াছি। উদ্দেশ্য,-রণ-ক্ষেত্ৰে প্ৰাণ-বিসর্জন। আমার হৃদয়ে অন্ধকার । আমার জীবনের সমস্ত সুখ ও ভাবি সুখের আশা চিরকালের তরে অন্তৰ্হিত হইয়াছে। আমার এই বিপত্তির তুমিই একমাত্র কারণ।” বেরেস ফোডের বিধবা পত্নী, ভালবাসার উদ্বেল প্রবাহ বুকে চাপিয়া রাখিয়া, আর আত্মসংবরণ করিতে পারিলেন না । তঁহার আত্মার সংকল্প, খরা-বাহিনী স্রোতস্বিনীর তটু-স্থিত ও তরঙ্গাহত বালুস্তুপের ন্যায়, ভাঙ্গিয়া পড়িল । সংকল্পের দৃঢ়তা, বসন্ত-বাতি-স্পষ্ট কপূরের ন্যায়, উড়িয়া গেল৭ -- অবলার চির-পরিচিত, পর-প্ৰীতি-কোমল, দুর্বল প্ৰাণ আপনি স্বভাবের পরিচয় প্ৰদান করিল । দ্বিতীয় পরিণয়ের পরিণামঘোর বিপত্তি ও নিশ্চিত মৃত্যু ৷ ইহা জানিয়াও, প্ৰণয়-মোহ-মুগ্ধা রমণী নয়ন-জলে ভাসিতে ভাসিতে, সেই অশুভ পরিণয়ের অশুভ প্ৰস্তাবে,-হায় অতি অশুভক্ষণে-সম্মতি প্ৰদান করিলেন । তিনি যুবকের সম্পর্কে, রূপজ-মোহ অথবা করুণ-স্নেহকেই প্রণয় বুঝিয়া, বঞ্চিত হইলেন। অদূরদর্শি অবলার উচ্ছসিত প্রীতি, কুসুম-তরু-ভ্ৰমে, বিষ-বৃক্ষকেই হৃদয়ে আলিঙ্গন করিল। লেডী বেরেসফোর্ড এখন যাজক-পুত্রের পত্নী। সে হতভাগ্য যুবক মদ্যপায়ী, অপব্যয়ী ও যত-দূর-সম্ভব স্বার্থপর ও নিষ্ঠৱ। মনুষ্যত্বের প্রায় কোন উপকরণই তাহাতে ছিল না। লের্ডী SO