পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: २ वै8 ছায়াদর্শন । শব্দে এবং তাহার প্রতপ্ত দীর্ঘশ্বাসে, কিছুদিন হৃদয়ে ক্লেশ৷ অনুভব করিল। তাহার জীবনের প্রতিহত স্রোতও সেই হইতে আর এক দিকে প্ৰবাহিত হইয়া আর এক ভাবে চলিল। " ঈশ্বরে তদগত-ভক্তি এবং পরলোকে প্ৰত্যক্ষদর্শনবৎ প্রগাঢ় বিশ্বাস তাহার নূতন জীবনের দুই প্রধান সূত্র হইল। ডনষ্টন একটুকু অভিমানী লোক ছিল। তাহার সমস্ত অভিমান এবং স্বঘিনিষ্ঠ সাংসারিকতার কঠোর ভাব একবারে বিধ্বস্ত হইয়া গ্ৰীতিস্নেহের মধুরতা, নম্রতা ও দৈন্যে পরিণত क्षेळ । পাঠককে এই কাহিনীর উপসংহারে এই মাত্র’ংক্রিক্ষে চাৰ্মি যে, ডনষ্টন আর বিবাহ করে নাই, এবং সেই হালনগয়ে কিয়া । সৈনিক বিভাগে কাৰ্য্য করিতেও চিত্তে অধিক কাল আর স্ফৰ্ত্তি পায় নাই। পারলৌকিক-জগতেব সত্যতা বিষয়ক বিবিধ আলোচনার উপলক্ষে, তাহার সহিত কালে বিখ্যাতনামা ষ্টেড সাহেবের বিশেষ সৌহার্দ্য জন্মিয়াছিল। এখানে দুইটি প্রশ্ন আছে। ডনষ্টনের প্ৰেম-জীবন যদি পাপে কলুষিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে, লুইসীও ত কিয়দংশে সেই পাতকের অংশিনী! এমন অবস্থায় সে, দেহত্যাগের পর, জ্যোৎস্নাশীতলা দেব-মূৰ্ত্তি লাভ করিয়া দেব-ধামে স্থান পাইল কি প্রকারে ? উত্তর—লুইসীর হৃদয় নিঃস্বাৰ্থনিৰ্ম্মল ;-স্বচ্ছাপত্রংস্থিত পবিত্র গঙ্গাজলের ন্যায়, প্রেমে টল-টল। দেবতারা মানুষের বাহিরের আবরণ দেখেন না; তঁহার দেখেন অভ্যন্তরীণ