পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSVAyo কখনও একখানি তুষার-শীতল হস্তের মত কেথীর মুখে যাইয়া স্পষ্ট হয় ; কেথী চীৎকার করিয়া দৌড়াইয়া দূরে যায়। একদিন, কেথী আর মারগারেটা এক বিছানায় শুইয়া আছে। সেখানে একটা হৃষ্টপুষ্ট বিলাতি কুকুরের মত অদৃশ্য জীব তাহাদিগের উভয়েরই পায়ে ঠেকিল। উভয়েই চীৎকার করিয়া উঠিল। মা, হাতে প্ৰদীপ লইয়া, দৌড়িয়া আসিলেন ; আসিয়া দেখিলেন বালিকা দুইটি একে অন্যকে জড়াইয়া ধরিয়া, ভয়ে কঁাপিতেছে ; কিন্তু ভয় ও ভাবনার কোন বস্তু কাছে নাই । আর একদিন, কেথী শুইয়া আছে, কিন্তু তাহার গায়ের উপর যে কম্বল ছিল, তাহা ও বিছানার চাদরখানি কে যেন ধীরে ধীরে টানিয়া নিতেছে । ইহার পর উপদ্ৰব অন্য মূৰ্ত্তি ধারণ করিল। ঘরের টেবিল, চেয়ার ও সোফা প্ৰভৃতির ন্যায়, দ্রব্যসামগ্ৰী লইয়া টানাটানি আরব্ধ হইল । চেয়ারখানি একস্থান হইতে লাফাইয়া আর একস্থানে যাইয়া পড়িল। সোফাটি, যেন আপনার বুদ্ধিতে, টক টিক করিয়া হাটিয়া আর একস্থানে যাইয়া রহিল। ইহা কে করে ? ফক্স ও তাঁহার স্ত্রী রাত্ৰিতে ঘুমাইতে পারেন না, সন্ধা হইতে বোসী গভীর রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত, মুহুর্তের তরেও, শান্তি পান না। ঘরের মধ্যে এইরূপ অশ্রুতপূর্ব অত্যাচার হইলে, কে শান্তিতে নিদ্রা যাইতে পারে ? কিন্তু জুন ফক্স ও তাহার গৃহিণী মারগারেট, ৩১শে মার্চ, শুক্রবার, মনে বড় দৃঢ় সংকল্প করিয়া রাত্ৰিতে নিদ্রা যাইবার