পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

xle/• পর, বাহিরে আসিয়া বালিকা লুক্রিশিয়াকে, “আজি আর কোন কাজ নাই” এই বলিয়া, বিদায় করিয়া দিল। ইহার অল্প পরে, বেলের স্ত্রীও, একটা কার্য্যের কথা কহিয়া, সেদিনকার জন্য একটি দূরস্থ প্রতিবেশীর বাড়াতে চলিয়া গেল। বাড়ীর তিন জনের মধ্যে সেদিন বাড়ীতে রহিল একাকী বেল । সন্ধ্যার ক্ষণপরেই নৈশ আহার সমাপ্ত হইল। বেল আর পেড লার, কিছুকাল একত্র বিশ্রাম করিয়া, পৃথক পৃথক ঘরে শয়ন করিল। বাড়ীর চারিদিকে মাঠ। মাঠের অনেক দূরে নিকটস্থ প্রতিবেশী । বাড়ীতে শত চীৎকার করিলেও, সেই শব্দ প্ৰতিবেশীর কাণে পহুচে না । রাত্রি যখন গভীর হইয়াছে—সম্ভবতঃ বারটা বাজিয়াছে- এবং বাহিরের বাতাস শে। শো শব্দে, পাপ-ভার-নিপীড়িত লোক-মাতা পৃথিবীর শোক ধ্বনির মত, মাঝে মাঝে শ্ৰদ্ধয়মাণ হইতেছে, তখন অতিথি পেডলার। আপনার কণ্ঠে অকস্মাৎ তীক্ষ আস্ত্রের আঘাত অনুভব করিয়া, চীৎকার করিবার চেষ্টা করিল। চীৎকার বোসী ফুটিল না। সে মুহূৰ্ত্ত মধ্যেই বুঝিতে পাইল যে, পৃথিবী ও পার্থিব দেহের সহিত তাহার চিরদিনের তরে দিচ্ছেদ ঘটিয়াছে, এবং তাহার যাহা কিছু অর্থবিত্ত ছিল, তাহার লোভই নিষ্ঠর বেলকে এই ভয়ঙ্কর দুষ্কাৰ্য্যে প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়াছে। ডক্টর ডিউসলার এক আশ্চর্য বুদ্ধিকৌশল উদ্ভাবন করিয়া একখানি ইংরেজী বর্ণমালা সংগ্ৰহ করিলেন, এবং বর্ণমালার এক একটি অক্ষর উচ্চারণ করিয়া, তিনটি শব্দে ‘হঁ।”