পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/y কিন্তু বৈষ্ণব-সাহিত্যে উল্লিখিত প্রশ্নের অন্যরূপ মীমাংসা । যথা, ঠাকুর বৃন্দাবনদাস প্রণীত শ্ৰীচৈতন্যভাগবত নামক সুপরিাচিত গ্রন্থে, শ্ৰীগৌরাঙ্গ ও শচীর কথোপকথনে,— “গৰ্ববাসে যত দুঃখ জন্ম বা মরণে । কৃষ্ণের সেবক মাতা কিছুই না জানে। জগতের পিতা কৃষ্ণ, যে না ভজে বাপ, পিতৃদ্রোহী পাতকীর জন্ম জন্ম তাপ । চিত্ত দিয়া শোন মাতা জীবের যে গতি, না ভজিলে কৃষ্ণ পায় যতেক দুৰ্গতি । মরিয়া মরিয়া পুনঃ পায় গৰ্ত্তবাস, সর্ব অঙ্গে হয় পূর্ব পাপের প্রকাশ। কটু, অম্ল, লবণ জননী যত খায়, অঙ্গে গিয়া লাগে তার মহামোহ পায় । মাংসময় অঙ্গ কৃমিকুলে বেড়ি খায়, ঘুচাইতে নাহি শক্তি মরয়ে জ্বালায়। নড়িতে না পারে। তপ্ত পঞ্জরের মাঝে, তবে প্ৰাণ রহে তার ভবিতব্য কাজে । • কোন অতি পাতকীর জন্ম নাহি হয়, গৰ্ব্বে গর্ভে হয় পুনঃ উৎপত্তি প্ৰলয় ।” । আমি যখন উপরিষ্কৃত পংক্তিগুলি পাঠ করিলাম, তখন আমার বুদ্ধি ও চিত্তবৃত্তি কিরূপ ভয়ঙ্কর ভাবে বিলোড়িত হইল --মনে কেমন একটা অভাবনীয় আতঙ্ক জন্মিল, তাহা আমি।