পাতা:ছায়াদর্শন - কালীপ্রসন্ন বিদ্যাসাগর.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ه শায় পরিণত হইয়াছে ; বুদ্ধার ভাঙা বুক আরও ভাঙিয়া পড়িয়াছে। বৃদ্ধ, এ সময়ে, নানা রোগে কষ্ট পাইতেছিল। সে একদিন, মধ্যরাত্রে, আপনার প্রাণাধিক তৃনয়াদিগকে নাম ধরিয়া ডাকিল; ডাকিয়া, ডাকিয়া, ক্লান্ত হইয়া, নয়নজলে ভাসিল । তার পর, নিঃশব্দে পড়িয়া রহিল ; আর জাগিল না। মানুষ, গরীব দুঃখীর ঘরে, নীরবে কঁাদে, নীরবে ছটু ফটু করে, এবং নীরবেই মৃত্যুর গ্রাসে ঢলিয়া পড়ে। কেহ তাহ দেখিয়াও দেখে না, জানিয়াও জানে না । বৃদ্ধ একাকিনী, মনের আগুনে পুড়িয়া পুড়িয়া, মৃত্যুর গ্রাসে ঢলিয়া পড়িল। পৃথিবীতে কেহই তাহার খবর লইল না। বৃদ্ধ, যে দিন, যে সময়, আয়ার্লণ্ডের নির্জন কুটীরে তনুত্যাগ করে, ঠিক সেই দিন, সেই সময়, তাহার সকল যন্ত্রপার মূল, লর্ড লিটলটন, লণ্ডনের হিলস্ট্রীট প্রাসাদে, ঘোর নিদ্রায় বিভোর। সে রমণীয় প্রাসাদের নিত্যনিয়মিত নৈশ ভোজব্যাপার, হাস্যপরিহাসের আমোদ-হিল্লোলে, সুখ-সন্তোষে সম্পন্ন হইয়া গিয়াছে। ভৃত্যগণ, অনেকক্ষণ হইল, প্রভুর শয়নকক্ষের আলো নিবাইয়া, নিজ নিজ স্থানে প্ৰস্থান করিয়াছে। লিটেলটন সুকোমল সুখশয্যায়, আরামে নিদ্রা যাইতেছেন। তিনি হঠাৎ ঘুমের ঘোরে চমকিয়া উঠিলেন,–যেন শুনিতে পাইলেন, জানালার নিকট পাখীর পাখার শব্দ হইতেছে। যে দিক হইতে শব্দ আসিতেছিল, তিনি সেই দিকে ফিরিয়া চাহিলেন। চাহিয়া দেখিলেন,- পাখী নহে, একটি রমণীমূৰ্ত্তি দণ্ডায়মান। রমণীর শরীরে