পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাদাসিধে অথচ সুন্দর এবং শান্তিময়, অনেকখানি আকাশ আলেt নিস্তব্ধতা এবং করুণতায় পরিপূর্ণ। মারামারি, হানাহানি, যোঝাবুঝি, কান্নাকাটি, সে-সমস্ত এই ছায়াময় নদীস্নেহবেষ্টিত প্রচ্ছন্ন বাংলাদেশের নয়। যাই হোক, এলিমেণ্টস অফ পলিটিক্স, জলের উপরে তেলের মতো এখানকার নিস্তব্ধ শান্তির উপর দিয়ে অবাধে ভেসে চলে যায় ; একে কোনো রকমে নাড়া দিয়ে ভেঙে দেয় না , o নদীর মাঝখানে বসে আছি, দিনরাত্রি হু হু ক’রে বাতাস দিচ্ছে, দুই দিকের দুই পার পৃথিবীর দুটি আরম্ভরেখার মতো বোধ হচ্ছে— ওখানে জীবনের কেবল আভাস মাত্র দেখা দিয়েছে, জীবন সুতীব্র ভাবে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে নি ; যারা জল তুলছে, স্নান করছে, নেীকে বাচ্ছে, গোরু চরাচ্ছে, মেঠো পথ দিয়ে আসছে যাচ্ছে, তার যেন যথেষ্ট জীবন্ত সত্য নয়। অন্য জায়গায় মানুষরা ভিড় করে, তারা সামনে উপস্থিত হলে চিস্তার ব্যাঘাত করে, তাদের অস্তিত্বই যেন কুমুই দিয়ে ঠেলা দেয়, তারা প্রত্যেকে এক-একটি পজিটিভ মানুষ। এখানকার এরা সম্মুখে আনাগোনা চলাবল কাজকর্ম করছে, কিন্তু মনকে ঠেলা দিয়ে যাচ্ছে না। কৌতুহলে সামনে দাড়িয়ে দেখছে, কিন্তু সেই সরল কৌতুহল ভিড় ক’রে গায়ের উপর এসে পড়ছে না। যা হোক, বেশ লাগছে। S e a