পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" বোলপুর शत्रजदांब्र । २२ छाछे »va२ পূর্বেই লিখেছি, অপরাহ্লে আমি আপন-মনে একাকী ছাতের উপর বেড়াই ; কাল সন্ধ্যাবেলায় আমার দুই বন্ধুকে তুই পার্শ্বে নিয়ে অঘোরকে আমার পথপ্রদর্শক ক’রে তাদের এখানকার প্রাকৃতিক শোভা সন্দর্শন করানো আমার কর্তব্য মনে করে বেরিয়ে পড়া গেল। তখন সূর্য অস্ত গেছে, কিন্তু অন্ধকার হয় নি। একেবারে দিগন্তের প্রান্তে যেখানে গাছের সার নীলবর্ণ হয়ে দেখা যাচ্ছে তারই উপরেই ঠিক একটি রেখামাত্র খুব গাঢ় নীল মেঘ উঠে খুব চমৎকার দেখতে হয়েছে। আমি তারই মধ্যে একটুখানি কবিত্ব করে বললুম, ঠিক যেন নীল চোখের পাতার উপরে নীল স্বৰ্মা লাগিয়েছে ; সঙ্গীর। কেউ কেউ শুনতে পেলে না, কেউ কেউ বুঝতে পারলে না, কেউ কেউ সংক্ষেপে বললে, “হা, দিব্যি দেখতে হয়েছে’। তার পর থেকে দ্বিতীয় বার কবিত্ব করতে আমার উৎসাহ হল না। প্রায় মাইলখানেক গিয়ে একটা বাধের ধারে এক সার তালবন এবং তালবনের কাছে একটা মেঠো ঝরনার মতো আছে, সেইটে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছি, এমন সময়ে দেখি উত্তরে সেই নীল মেঘ অত্যন্ত প্রগাঢ় এবং স্ফীত হয়ে চলে আসছে এবং মধ্যে মধ্যে বিদ্যুদৃদন্ত বিকাশ করছে। আমাদের সকলেরই মত হল এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘরের মধ্যে বসে দেখাই সর্বাপেক্ষ নিরাপদ। বাড়িমুখে যেমন ফিরেছি আমনি প্রকাণ্ড মাঠের উপর দীর্ঘ পদক্ষেপ করতে করতে সরোষ গর্জনে একটা ঝড় আমাদের ঘাড়ের উপর এসে পড়ল। আমরা যখন প্রকৃতিসুন্দরীর চোখের স্বৰ্মার বাহার নিয়ে তারিফ করছিলুম তখন তিলমাত্র আশঙ্কা করি নি যে, তিনি রোষাবিষ্ট৷ গৃহিণীর মতো এত > S >