পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩ जिलांझेलझ ২১ জুলাই ১৮৯২ কাল বিকেলে শিলাইদহে পোঁচেছিলুম, আজ সকালে আবার পাবনায় চলেছি। নদীর যে রোখ! যেন লেজ-দোলানো কেশরফোলানো তাজা বুনো ঘোড়ার মতো। গতিগর্বে ঢেউ তুলে ফুলে ফুলে চলেছে— এই খেপা নদীর উপর চড়ে আমরা তুলতে তুলতে চলেছি। এর মধ্যে ভারি একটা উল্লাস অাছে। এই ভরা নদীর যে কলরব সে আর কী বলব। ছলছল খলখল করে কিছুতে যেন আর ক্ষান্ত হতে পারছে না, ভারি একটা যৌবনের মত্ততার ভাব। এ তবু গড় ই নদী, এখান থেকে আবার পদ্মায় গিয়ে পড়তে হবে, তার বোধ হয় আর কুল-কিনারা দেখবার জো নেই। সে মেয়ে বোধ হয় একেবারে উন্মাদ হয়ে খেপে নেচে বেরিয়ে চলেছে, সে আর কিছুর মধ্যেই থাকতে চায় না। তাকে মনে করলে আমার কালীর মূর্তি মনে হয়— মৃত্য করছে, ভাঙছে, এবং চুল এলিয়ে দিয়ে ছুটে চলেছে। মাঝিরা বলছিল, নতুন বর্ষায় পদ্মার খুব ধার’ হয়েছে। ধার কথাটা ঠিক। তীব্র স্রোত যেন চকচকে খড়েগর মতে, পাৎলা ইস্পাতের মতো একেবারে কেটে চলে যায়— প্রাচীন ব্রিটনদের যুদ্ধরথের চাকায় যেমন কুঠার বাধা— দুই ধারের তীর একেবারে অবহেলে ছারখার করে দিয়ে চলেছে । কাল যে কাগুটি হয়েছিল সে কিছু গুরুতর বটে। কাল যম, রাজের সঙ্গে একরকম হাউ-ডা-ডু করে আসা গেছে। মৃত্যু যে ঠিক আমাদের নেক্স টু-ডোর নেবার, তা এরকম ঘটনা না হলে সহজে মনে হয় না। হয়েও বড়ো মনে পড়ে না। কাল চকিতের মতো যার আভাস পাওয়া গিয়েছিল আজ তার মূর্তিখানা কিছুই স্মরণ হচ্ছে ר ס\ צ