পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাই তখন অনেকগুলো বই সঙ্গে নিতে হয় ; তার সবগুলোই যে প্রতিবার পড়ি তা নয় ; কিন্তু কখন কোনটা দরকার বোধ হবে আগে থাকতে জানবার জো নেই, তাই সমস্ত সরঞ্জাম হাতে রাখতে হয়। মানুষের মনের যদি নির্দিষ্ট ঋতুভেদ থাকত তা হলে অনেক সুবিধে হত। যেমন শীতের সময় কেবল শীতের কাপড় নিয়ে যাই এবং গরমের সময় বালাপোষ নেবার কোনো দরকার থাকে না, তেমনি যদি জানতুম মনে কখন শীত কখন বসন্ত আসবে তা হলে আগে থাকতে সেইরকম গদ্য কিম্বা পদ্যের যোগাড় করা যেতে পারত। কিন্তু মনের ঋতু আবার ছ’টা নয়, একেবারে বাহাল্লটা— এক প্যাকেট তাসের মতো— কখন কোনটা হাতে আসে তার কিছু ঠিক নেই— অস্তরে বসে বসে কোন খামখেয়ালী খেলোয়াড় যে এই তাস ডীল ক’রে এই খামখেয়ালী খেলা খেলে তার পরিচয় জানি নে। সেই জন্য মানুষের আয়োজনের শেষ নেই— তাকে যে কত রকমের কত-কী হাতে রাখতে হয় তার ঠিক নেই। সেই জন্যে আমার সঙ্গে নেপালীজ বুদ্ধিস্টিক লিটারেচর থেকে আরম্ভ করে শেক্সপীয়র পর্যন্ত কত রকমেরই যে বই আছে তার আর ঠিকানা নেই। এর মধ্যে অধিকাংশ বইই ছোব না, কিন্তু কখন কী আবশ্ব্যক হবে বলা যায় না। অন্যবার বরাবর অামার বৈষ্ণব কবি এবং সংস্কৃত বই আনি ; এবার আনি নি, সেই জন্যে ঐ দুটোরই প্রয়োজন বেশি অনুভব হচ্ছে । যখন পুরী খণ্ডগিরি প্রভৃতি ভ্রমণ করছিলুম তখন যদি মেঘদূতটা হাতে থাকত ভারী সুখী হতুম। কিন্তু মেঘদূত ছিল না, তার বদলে Caird's Philosophical Essays foot S @ 8