পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকে সুদীর্ঘ এবং আপনাকে সম্পূর্ণ অযোগ্য মনে হয়। কিন্তু সে যুক্তিটা বোধ হয় ঠিক নয় ; বাস্তবিক, বোধ হয় কুশের কাটায় বেশি অস্থির করে। মনের ভিতরে একটি গোছালো গিন্নিপন দেখা যায়— সে দরকার বুঝে ব্যয় করে, সামান্ত কারণে বলের অপব্যয় করতে চায় না। সে যেন বড়ো বড়ো সংকট এবং আত্মত্যাগের জন্যে আপনার সমস্ত বল কৃপণের মতে সযত্নে সঞ্চয় করে রাখে। ছোটো ছোটো বেদনায় হাজার কান্নাকাটি করলেও তার রীতিমত সাহায্য পাওয়া যায় না। কিন্তু, যেখানে দুঃখ গভীরতম সেখানে তার আলস্ত নেই। এই জন্যে জীবনে একটা প্যারাডক্স, প্রায়ই দেখা যায় যে, বড়ো দুঃখের চেয়ে ছোটো দুঃখ যেন বেশি দুঃখকর। তার কারণ, বড়ো দুঃখে হৃদয়ের যেখানটা বিদীর্ণ হয়ে যায় সেইখান থেকেই একটা সান্তনার উৎস উঠতে থাকে ; মনের সমস্ত দলবল, সমস্ত ধৈর্যবীর্য এক হয়ে আপনার কাজ করতে থাকে ; তখন তুঃখের মাহাত্ম্যের দ্বারাই তার সহ্য করবার শক্তি বেড়ে যায় । মানুষের হৃদয়ে এক দিকে যেমন সুখলাভের ইচ্ছা তেমনি আর-এক দিকে আত্মত্যাগের ইচ্ছাও আছে ; মুখের ইচ্ছা যখন নিস্ফল হয় তখন আত্মত্যাগের ইচ্ছ বলিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং সেই ইচ্ছার চরিতার্থত৷ সাধন করবার অবসর পেয়ে মনের ভিতরে একটা উদার উৎসাহ-সঞ্চার হয়। ছোটো দুঃখের কাছে আমরা কাপুরুষ কিন্তু বড়ো দুঃখ আমাদের বীর করে তোলে, আমাদের যথার্থ মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করে দেয়। তার ভিতরে একটা সুখ আছে। দুঃখের সুখ ব’লে একটা কথা অনেক দিন থেকে প্রচলিত আছে, সেটা নিতান্ত বাকচাতুরি নয়— এবং সুখের অসন্তোষ একটা আছে, সেও সত্য। তার মানে বেশি শক্ত নয়। যখন আমরা নিছক সুখ ভোগ করতে থাকি তখন আমাদের মনের একাধ অকৃতাৰ্থ থাকে, তখন একটা-কিছুর জন্যে দুঃখভোগ এবং S8 ఇ రి సె