পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१ छूलाई பு: >brb ? বহুদিন চিঠিপত্র লিখিনি, কারণ চিঠি লেখা কম কণগু নয় । দিনের পর দিন চলে যাচ্চে—কেবল বয়স বাড়চে । দু বৎসর আগে পচিশ ছিলুম এইবার সাতাশে পড়েছি— এই ঘটনাটাই কেবল মাঝে মাঝে মনে পড়চে—আর কোন ঘটনা ত দেখচিনে । কিন্তু সাতাশ হওয়াই কি কম কথা ! কুড়ির কোঠার মধ্যাহ্ন পেরিয়ে ত্রিশের অভিমুখে অগ্রসর হওয়া –ত্রিশ-অর্থাৎ বুনো-অবস্থ। । অর্থাৎ যে অবস্থায় লোকে সহজেই রসের অপেক্ষ শস্তের প্রত্যাশ করে—কিন্তু শস্তের সম্ভাবন কই ! এখনও মাথা নাড়া দিলে মাথার মধ্যে রস থলু থলু করে—কই তত্ত্বজ্ঞান কই ! লোকে মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করচে– “তোমার কাছে যা আশা করচি ত কই ? এতদিন আশায় আশায় ছিলুম তাই কচি অবস্থার শু্যাম শোভা দেখেও সন্তোষ জন্মাত—কিন্তু তাই বলে চিরদিন কচি থাকলে ত চলবে না । এবারে—তোমার কাছে কতখানি লাভ করতে পারব তাই জানতে চাই— চোখে-ঠুলি-বৰ্ণধা নিরপেক্ষ সমালোচকের ঘানি-সংযোগে তোমার কাছ থেকে কতটুকু তেল আদায় হতে পারে এবার তার একটা হিসেব চাই ।”—আর ত ফাকি দিয়ে চলে না । এতদিন বয়স অল্প ছিল, ভবিষ্যতে সাবালক অবস্থার ভরসায় লোকে ধারে খ্যাতি দিত । এখন ত্রিশ বৎসর হতে চলুল আর ত তাদের বসিয়ে রাখলে চলে না । কিন্তু পাক-কথা কিছুতেই বেরোয় না শ্ৰীশ বাবু। যাতে পাঁচ জনের কিছু লভ্য হয় এমন বন্দোবস্ত করতে পারুচিনে । দুটাে গান বা গুজোব, হাসি বা তামাসা এর চেয়ে বেশী আর কিছু হয়ে উঠল না। যারা প্রত্যাশ করেছিল তারা মাঝের থেকে আমারই উপর চট্টবে । কিন্তু কে তাদের মাথার দিব্যি দিয়ে প্রত্যাশা করতে বলেছিল । হঠাৎ একদিন বৈশাখের প্রভাতে নববর্ষের নুতন পত্র পুষ্প আলোক ও সমীরণের মধ্যে জেগেউঠে যখন শুনলুম আমার বয়স সাতাশ তখন আমার মনে এই সকল কথার উদয় হল । আসল কথা—যতদিন আপনি কোন লোককে বা বস্তুকে সম্পূর্ণ ন জানেন ততদিন কল্পনা