পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(৬৩)

টান্‌চে—এবং এরি মধ্যে ভৈরো রাগিণী। রাত যখন সাড়ে তিনটে তখন কতকগুলি ব্যস্তবাগীশ লোক পরস্পরকে জাগ্রত হতে উৎসাহিত করতে লাগ্‌ল। আমি নিতান্ত কাতরভাবে শয্যা ত্যাগকরে আমার চৌকিটাতে ঠেস দিয়ে প্রভাতের প্রতীক্ষায় বসে রইলুম। একটা বিচিত্র অভিশাপের মত রাতটা কেটেগেল। একটা খালাসীর কাছে সংবাদ পেলুম ষ্টীমার এমনি আট্‌কে গেছে আজ সমস্ত দিন নড়বে না। একজন কর্ম্মচারীকে জিজ্ঞাসাকরলুম কলকাতামুখী কি কোন জাহাজ ইতিমধ্যে পাওয়া যাবে, সে হেসে বল্লে এই জাহাজই গম্যস্থানে পৌঁছে পুনশ্চ কলকাতায় ফিরবে অতএব ইচ্ছে করলে এই জাহাজে করেই ফিরতে পারি। সৌভাগ্যক্রমে অনেক টানাটানির পর প্রায় দশটার কাছাকাছি জাহাজ চল্‌তে আরম্ভকরলে।