হতাশ প্রেমের হুতাশে সদাই,
জ্বলিছে যাহার প্রাণ।
কাঁদিতে হবে না, যাতনা রবে না,
রবে না ভাবনা-ভার,
আয় আয় আয়, কে আছিস তোরা,
খোলা এ কুটীর দ্বার।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ
বিদায়
গান গাহিতে গাহিতে নীরজা সহসা থামিল। পার্শ্বস্থ বটবৃক্ষতল হইতে হঠাৎ যেন মনুষ্যের চঞ্চল পদনিক্ষেপশব্দ তাহার কর্ণে প্রবেশ করিল, সে চমকিত হইয়া সেইখানে দাঁড়াইল, সেই দিকে চাহিবামাত্র তাহার মনে হইল, কে যেন ছায়ার মত বৃক্ষান্তরাল হইতে সহসা সরিয়া পড়িল। ইহা শুনিয়া সন্ন্যাসী ও প্রমোদ দু’জনেই কিছুক্ষণ বৃক্ষতল অন্বেষণ করিলেন, কিন্তু কিছুই দেখিতে পাইলেন না, তখন নীরজার ভ্রম বুঝিয়া আবার মন্দিরাভিমুখী হইলেন। কুটীরে পৌছিয়া আহারান্তে সন্ন্যাসী প্রমোদকে তাহার নাম ধাম জিজ্ঞাসা করিলেন; পরিচয় লাভে সহসা যেন কেমন মুহ্যমান্ হইয়া পড়িলেন। কিন্তু অল্পক্ষণ মাত্র স্তব্ধ থাকিয়া স্বাভাবিক ধীর শান্তভাবে পুনরায় কহিলেন—“কানপুরে কেন আসা হ’ল?”
প্র। “পূজার ছুটীতে বেড়াতে এসেছি।”
স। “কতদিন এখানে থাকা হবে?”
প্রমোদ একটু থামিয়া থামিয়া বলিলেন, “আর দু’চার দিনের মধ্যেই