পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रीौङ्गखननौ so কেমন একটা সমীহ হইত। এখন তো আমার চুল পাকিয়াছে— আমার নাতিপুতি হইয়াছে, তবু যদি এখন আমি তাহাকে হঠাৎ দেখিতে পাই, আমার মনে কেমন একরকম অবর্ণনীয় ভাব উপস্থিত হয় । আমেরিকার পিতৃস্থানীয় ওয়াশিংটনকে দেখিলে যেমন ভয়মিশ্র ভক্তিভাবের উদয় হয়, সেইরূপ র্তাহার গৃহকত্রী গৃহলক্ষ্মী মাতাকে দেখিলে সেই প্রকার ভাবের উদয় হইত।” এই প্রকার গার্হস্থ্য শক্তির অধীনে থাকিয়া ওয়াশিংটনের মন গঠিত হইয়াছিল । * যখন ওয়াশিংটন আমেরিক-সৈন্যের প্রধান সেনাপতি-পদে নিযুক্ত হইলেন তখন সৈন্যমণ্ডলীর মধ্যে প্রবেশ করিবার পূর্বেই তাহার মাতাকে বিপদ-আপদ হইতে দূরে ও আত্মীয়স্বজনের নিকটে রাখিবার জন্য একটি গ্রামে পাঠাইয়া দিলেন । র্তাহার মাতা সেই বিপ্লবের সময়ে সেই গ্রামে জীবন অতিবাহিত করিতে লাগিলেন। দূতের কখনো জয়ের সংবাদ আনিতেছে, কখনো-বা পরাজয়ের সংবাদ আনিতেছে— কিন্তু তিনি ঈশ্বরের উপর নির্ভর করিয়া, জয়-পরাজয়ে অবিচলিত থাকিয়া অন্য বীরমাতাদিগকে নিজ দৃষ্টান্ত দেখাইয়া প্রশমিত করিতেন । Q কোনে-এক যুদ্ধে জয়লাভ হইলে ওয়াশিংটনের মাতার নিকট র্তাহার বন্ধুগণ আসিয়া সেই সুসংবাদ দিলেন এবং ওয়াশিংটন সম্বন্ধে যে-সকল প্রশংসার কথা ছিল তাহারা যুদ্ধের পত্র হইতে পড়িয়া র্তাহাকে শুনাইতে লাগিলেন । এই সুসংবাদে মাতা খুশি হইলেন, কিন্তু বেশি প্রশংসার কথা শুনিয়া বলিয়া উঠিলেন, “কিন্তু মহাশয়গণ, এ বড়ে বেশিরকম স্তুতিবাদ– তবুও আমি জর্জকে ছেলেবেলায় যে শিক্ষা দিয়েছিলেম বোধ হয় সে ভুলবে না— এত প্রশংসা শুনেও বোধ হয় সে আত্মবিস্মৃত হবে না।” প্রথম হইতে ওয়াশিংটনের মাতা যুদ্ধের ফলাফল সম্বন্ধে সন্দিহান ছিলেন ; কিন্তু যখন শুনিলেন– ইংরেজ সেনাপতি কর্নওআলিস