পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছুটির পড়া ج وينا শিবির তুলিয়া দেশে ফিরিবার উপক্রম করিতেছে। এমন সময় সহসা এক ব্যাঘাত ঘটিল। ইশা খা যখন মুকুট কাড়িয়া লইলেন রাজধর মনে মনে কহিলেন, “আমি না থাকিলে তোমরা কেমন করিয়া উদ্ধার পাও একবার দেখিব।” তাহার পরদিন রাজধর গোপনে আরাকানপতির শিবিরে এক পত্র পাঠাইয়া দিলেন । সেই পত্রে তিনি ত্রিপুরার সৈন্তের মধ্যে আত্মবিচ্ছেদের সংবাদ দিয়া আরাকানপতিকে যুদ্ধে আহবান করিলেন । ইন্দ্রকুমার যখন স্বতন্ত্র হইয়া সৈন্যসমেত স্বদেশাভিমুখে বহু দূর অগ্রসর হইয়াছেন এবং যুবরাজের সৈন্যরা শিবির তুলিয়া গৃহের অভিমুখে যাত্রা করিতেছেন, তখন সহসা মগের পশ্চাৎ হইতে আক্রমণ করিল— রাজধর সৈন্য লইয়া কোথায় সরিয়া পড়িলেন তাহার উদেশ পাওয়া গেল না । ● যুবরাজের হতাবশিষ্ট তিন সহস্র সৈন্য প্রায় তাহার চতুগুণ মগসৈন্তা-কর্তৃক হঠাৎ বেষ্টিত হইল। ইশা খাঁ যুবরাজকে বলিলেন, “আজ আর পরিত্রাণ নাই। যুদ্ধের ভার আমার উপর দিয়া তুমি পলায়ন করে ।” যুবরাজ দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “পালাইলেও তো একদিন মরিতে হইবে।” চারি দিকে চাহিয়া বলিলেন– “পালাইব বা কোথা । এখানে মরিবার যেমন সুবিধা পালাইবার তেমন সুবিধা নাই । হে ঈশ্বর, সকলই তোমার ইচ্ছা ।” ইশা খা বলিলেন, “তবে আইস, আজ সমারোহ করিয়া মরা যাক ৷” বলিয়া প্রাচীরবং শত্রুসৈন্তের এক তুর্বল অংশ লক্ষ্য করিয়া সমস্ত সৈন্ত বিদ্যুদবেগে ছুটাইয়া দিলেন। পালাইবার পথ রুদ্ধ দেখিয়া সৈন্তের উন্মত্তের ন্তায় লড়িতে লাগিল। ইশা খাঁ দুই হাতে ছুই তলোয়ার লইলেন– তাহার চতুস্পার্শ্বে একটি লোক তিষ্ঠিতে