পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պեյ, ছুটির পড়া কাপড় সূর্যের কোনো রঙের ঢেউ আপনার মধ্যে প্রবেশ করিতে দেয় না, কিন্তু কালে কাপড় সমস্তটাই আপনার মধ্যে প্রবেশ করিতে দেয়, কোনো রঙই ফিরাইয়া দেয় না । গাছের পাতা বা ফুল যে-সকল ঢেউ তাহাদের মধ্যে গ্রহণ করিয়া রাখিয়া দেয়, তাহাদেরই সাহায্যে তাহারা নিজের আহারের জন্য রস প্রস্তুত করে ও অtহার হজম করে । সূর্যকিরণে এই যেমন আলোকের ঢেউ আছে, সেরূপ উত্তাপেরও ঢেউ আছে, আলো যেমন ঢেউ উত্তাপও তেমনি ঢেউ । আলোকের ঢেউয়ের ন্যায় উত্তাপের ঢেউও দেখিতে পাওয়া যায় না। সূর্যের উত্তাপের ঢেউগুলি যদিও অদৃশ্য হইয়া পৃথিবীতে আসিয়া থাকে, তথাপি সেইগুলির দ্বারাই আমাদের পৃথিবীর অধিকাংশ কার্য সম্পন্ন হইতেছে। এই উত্তাপের ঢেউ পৃথিবীতে আসিয়া জলকে বাম্পে পরিণত করে । জলীয় বাষ্প হাওয়া হইতে হালকা বলিয়া উপরে উঠিয়া যায়। সেইখানে গিয়া ঐ বাষ্প ঠাণ্ডায় জমিয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলের কণা সৃষ্টি করে । জলের কণাগুলি তখন বাতাসে ভাসিতে থাকে, এবং তাহারাই আবার বৃষ্টির আকারে পৃথিবীতে পতিত হইয়া নদ-নদী সৃষ্টি করে । উত্তাপের এই ঢেউগুলি প্রথমত মাটিকে গরম করে, এই গরম মাটির সংস্পর্শে বাতাস গরম ও হালকা হয় বলিয়া ঝড় হয়। এই ঢেউগুলি ভূমিকে উত্তপ্ত করিয়া উদ্ভিদজাতিকে বর্ধিত করে। আমাদের শরীরের উত্তাপ আমরা দুই উপায়ে পাইয়া থাকি। প্রথমত, এই ঢেউগুলি আমাদের গাত্রে আঘাত করে বলিয়া । দ্বিতীয়ত, উদ্ভিদগুলির নিকট হইতে । উদ্ভিদগুলির নিকট যে কী উপায়ে উত্তাপ পাই তাহা বলিতেছি । পূর্বে বলিয়াছি যে উদ্ভিদের সূর্যের অালো ও উত্তাপের ঢেউ নিজের শরীর-রক্ষার জন্য ব্যবহার করে । আমরা হয় সেই উদ্ভিদ খাই, নয়তো যে-সকল জন্তুরা সেই উদ্ভিদ খায় তাহাদের আহার করি । যখন আমাদের আহার হজম হয় তখন উদ্ভিদ যে-উত্তাপ সূর্যকিরণ হইতে প্রথমে গ্রহণ করিয়া সঞ্চয় করিয়া রাখিয়াছিল তাহাই আবার